ট্রেনের ফিরতি টিকিট পেতেও ভোগান্তির অভিযোগ

 ট্রেনের ফিরতি টিকিট পেতেও ভোগান্তির অভিযোগ
ট্রেনের ফিরতি টিকিট পেতেও ভোগান্তির অভিযোগ-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ঢাকা : পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ফিরতি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পেতেও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার (৪ মে) সকাল আটটা থেকে আগামী ৭ ও ৮ মের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরপরই টিকিট পেতে ভোগান্তির অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে নির্দিষ্ট সময়ে ঢুকে ফিরতি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। টিকিটের পেমেন্ট করলেও টিকিট মিলছে না। ঈদের আগে টিকিট পেতে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, এখন একই সমস্যা তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সহজকে বাদ দিতে হবে বলেও দাবি করেন যাত্রীরা।

তবে রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে ও বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে যে স্টেশন থেকে যাত্রা, সেই স্টেশন থেকেই দেওয়া হচ্ছে ফিরতি টিকিট। কিন্তু প্রায় সব যাত্রীই অনলাইনে টিকিট চায়। এতে কেউ পায়, কেউ পায় না। অথচ ফিরতি টিকিটের জন্য স্টেশনগুলোর কাউন্টারে খুব বেশি একটা লাইন নেই।

গতকাল (৩ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১ মে থেকে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ (বুধবার) সকাল আটটা থেকে আগামী ৭ ও ৮ মের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টিকিট নিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন যাত্রীরা।

ট্রেন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে জানতে ও জানাতে একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেইজ বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিবার। এটিতে এক লাখ ১৬ হাজার সদস্য রয়েছে।

বুধবার (৪ মে) সকাল ৯টার দিকে এ পেইজে মো. জিহাদ আহাসান লিখেন, ‘কি ফালতু সার্ভিস এদের। ৪০ মিনিট ধরে দুই ফোন, ল্যাপটপ দিয়ে ট্রাই করেও ঢুকলো না। একবার ঢুকলেও দেখি টিকিট শেষ। কথা হচ্ছে অনলাইনের জন্য বরাদ্দ টিকিটগুলো গেল কোথায়। আবার এখন যদি স্টেশনের পাশের ওই হোটেলে বা চায়ের দোকানে যাই, ঠিকই অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাবে। তারা পাচ্ছে কীভাবে এটাই বুঝিনা।’

৯টা পঞ্চাশ মিনিটে শাহরিয়ার নিরব লিখেন, ‘রেলওয়ে ই-টিকেটিং ওয়েবসাইট সহজকে বাতিল করেন। মানববন্ধন করার আহ্বান।’

১১টা ৫০ মিনিটে নাজমুস শাহাদাত লিখেন, ‘টিকিট কালোবাজারিসহ সহজের বাটপারি রুখতে একটা দুর্বার আন্দোলন প্রয়োজন।’

তবে ১০টার সময় মো. জিয়াউল হক শান্ত লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ফিরতি সোনার হরিণ কেটে ফেললাম। শায়েস্তাগঞ্জ টু ঢাকা। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।’

জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার জাগোনিউজকে বলেন, আমরা ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে রেখেছি। বাকি টিকিট কাউন্টারে। এখন যদি সবাই অনলাইনে টিকিট চায়, তাহলে তো কেউ পাবে, কেউ পাবে না। এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, যে স্টেশন থেকে যাত্রা, যেখান থেকেই ফিরতি অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ নেই।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom