‘জায়েদ-সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল আমাকে’
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে এসেই বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। প্রায় সপ্তাহ খানেক কক্সবাজারে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে অভিনয়ের পর নৃত্যু পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কলকাতায় ফিরে গেছেন তিনি।
সিনেমার শুটিং বন্ধের পর প্রযোজক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিনেতা জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা। এই দুই তারকার অভিযোগ, শুটিং সেটে নানা অপেশাদার আচরণের শিকার হয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে যখন বিতর্ক বেড়েই চলেছে তখন মুখ খুলেছেন প্রযোজক মনিরুল।
তার দাবি, শুটিং সেটে নৃত্য পরিচালক মাইকেলকে অপমান করেছেন জায়েদ ও সায়ন্তিকা। এই প্রযোজক বলেন, ‘আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, সেটা আমি একজন সিনেমার মানুষ হয়ে মেনে নেব না। কারণ, আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দেব না। এর সমাধান না হলে কাজ আর করব না। যা ক্ষতি হয় হবে।’
মনিরুল জানান, এই গল্প নিয়ে সিনেমা করার কথা ছিল না। এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধে এই সিনেমা শুরু করা। তা না হলে আমি করতাম না। অথচ জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল আমাকে। কী আর করার, জায়েদ-সায়ন্তিকার বিচার ওপরওয়ালার কাছে ছেড়ে দিলাম।’
এদিকে জায়েদ খানও প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা–কাজে মিল নেই।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে সিনেমার শুটিংয়ে। প্রয়োজনে আমার সেই টাকা জলে যাবে। তবুও এই ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সব বাদ দিয়ে এ দেশের শিল্পী নিয়ে নতুন করে শুটিং শুরু করব।’
গত ২৯ আগস্ট তাজু কামরুলের পরিচালনায় সায়ন্তিকা ও জায়েদ খানকে নিয়ে ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং শুরু হয় কক্সবাজারে। এক সপ্তাহ টানা শুটিং করে ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা। দেশে যাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে, নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় প্রথম ধাপের কাজ শেষ না করেই দেশে ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা।