জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
পাবনায় ভাতিজার রামদায়ের আঘাতে গুরুতর আহত ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক (৬০) হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর শুক্রবার রাতে মারা গেছেন।
প্রথম নিউজ, পাবনা: পাবনায় ভাতিজার রামদায়ের আঘাতে গুরুতর আহত ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক (৬০) হাসপাতালে ভর্তির দুই দিন পর শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা রবিউল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক গয়েশপুর ইউনিয়নের রথখোলা গ্রামের তোরাব আলী প্রামাণিকের ছেলে ও পাবনার পুষ্পপাড়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক। তিনি সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ছিলেন। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। রবিউল সম্পর্কে নিহত সাদেক আলী প্রামাণিকের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকালে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা রবিউল ধারালো রামদা দিয়ে তমিজ উদ্দিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তমিজ উদ্দিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রবিউল পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, প্রাথমিকভাবে এখনো বুঝতে পারছি না যে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছে। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার দিনই অভিযুক্ত রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা অন্য কিছু রয়েছে কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।