জ্বালানি সংকট নিরসনে ভারত থেকে এলো ১৯০০ টন ন্যাফথা
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জ্বালানি পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
প্রথম নিউজ, নরসিংদী: চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে দেশে এই প্রথমবারের মতো বিভিন্ন জ্বালানি পণ্যের কাঁচামাল ন্যাফথা আমদানি করা হয়েছে। ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে মোংলা বন্ধর হয়ে এই ন্যাফথা নরসিংদীর ঘোড়াশালের শীতলক্ষ্যা নদীর অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের জেটিতে পৌঁছেছে।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জ্বালানি পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম, ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের ডিরেক্টর (অপারেশন্স) এরশাদ হোসেন, ডিএমডি সাজেদুল সিরাজ, জিএম জাহাঙ্গীর আলম ও সাংহাই শিপের মালিক মাসুদুর রহমান।
জানা গেছে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ন্যাফথা আমদানি করা হয়। এই ন্যাফথা পরবর্তী সময়ে ২৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেলে রূপান্তরিত হবে। এই ন্যাপথা পরিশোধিত হওয়ার পর ৮০ শতাংশ অকটেন, ৫ শতাংশ পেট্রল ও ৭ শতাংশ কোরোসিন উৎপাদিত হবে। যা দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে অ্যাকোয়া রিফাইনারির ডিরেক্টর (অপারেশন্স) এরশাদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে প্রতি মাসে আমরা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ন্যাফথা বাংলাদেশে আনবো। এটি প্রক্রিয়াকরণ করতে পাঁচদিন সময় লাগে। ন্যাপথা পরিশোধিত করার পর পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার মাধ্যমে সারাদেশের ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। ভবিষ্যতে এই ন্যাফথা বাংলাদেশের ১০ শতাংশ অকটেনের চাহিদা পূরণ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ে পৌঁছার কারণে ও দামে কম হওয়ায় এটি আমাদের জন্য সাশ্রয়ী হবে। ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মাজহার আলম বলেন, ভারতের হলদিয়া থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় ন্যাফথা খুব দ্রুত ঢাকায় পৌঁছে যাবে। এটির প্রক্রিয়াকরণ করতেও সময় কম লাগে। আগে এটা প্রথমে চট্টগ্রামে আসতো পরে তা অ্যাকোয়া রিফাইনারিতে আসতো, যার ফলে ভাড়া বেশি পড়তো। এখন সময় কম লাগার কারণে দ্রুত ন্যাফথা থেকে ফুয়েল উৎপাদন করে জ্বালানি সংকট দূর করা যাবে। ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে ন্যাফথা বাংলাদেশে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বছরে ৪৫ লাখ মেট্রিক টন মালামাল ভারত থেকে নিয়ে আসি। এই প্রথম ভারত থেকে ন্যাফথা বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি তার প্রধান কারণ হল ফুয়েলের অপ্রতুলতা। দেশে ন্যাফথার অয়েল আমদানির ফলে ফুয়েলের যে ঘাটতি তা কিছুটা পূরণ হবে। আর সরকারের বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ন্যাফথা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীতে আরও ন্যাফথা দেশে আসবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews