ছাত্রলীগ নেতা কারখানায় এসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আটক
ছাত্রলীগের পদ থেকে রিপন হোসেনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৫৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ নিরব।
প্রথম নিউজ, গাজীপুর: টঙ্গীতে চাঁদাবাজির মামলায় রিপন হোসেন (২৮) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) কারাগারে পাঠানোর পর সন্ধ্যায় দল থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
গাজীপুর মহানগরের ৫৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ময়মনসিংহের পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। রিপন পরিবারসহ গাজীপুর মহানগরের নামাবাজার এলাকায় মাছিমপুর গ্রামে থাকতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম।
তিনি জানান, রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা রিপনসহ অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন স্থানীয় হামিম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ কালেকশন লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কামাল হোসেন জনি। পরে রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন সোমবার দুপুরে তাকে গাজীপুর মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। রিপনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মাদক, চুরি-ছিনতাই, অপহরণসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
মামলা বাদী কামাল হোসেন জনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে একটি নম্বর থেকে রিপন আমাকে ফোন করে বলে, এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের জন্য অনুদান দিতে হবে এবং দুপুরের খাবার বিরতির পর দেখা করবে বলে জানায় সে। এদিন দুপুরে লাঞ্চের পর আমি (হা-মীম গ্রুপের) কারখানার প্রধান ফটকের সামনে বের হলে আমার সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন রিপন আবারও জানায়, এলাকার বন্ধুবান্ধব, ভাই-ব্রাদার নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করবে। এ জন্য তাকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরাও সমস্বরে দুই লাখ টাকা চাইতে থাকে। পরদিন রিপন একই নম্বর থেকে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে জানায়, তাকে দুই দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা না দিলে আমাকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলবে।
এদিকে গ্রেফতারের পর সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের পদ থেকে রিপন হোসেনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৫৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ নিরব।
তিনি বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা ছাত্রলীগের নির্দেশে রিপন হোসেনকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কাউকে অপকর্ম করতে দেওয়া হবে না।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: