চট্টগ্রাম বন্দরের স্টোর ভাড়া বাড়ছে চার গুণ

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর প্রথম চার দিন বিনা খরচে বন্দরে কনটেইনার রাখার সুবিধা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের স্টোর ভাড়া বাড়ছে চার গুণ
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামে কনটেইনারজট কমাতে বন্দরের স্টোর ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের পর প্রথম চার দিন বিনা খরচে বন্দরে কনটেইনার রাখার সুবিধা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে ২০ দিন পর্যন্ত কনটেইনার আকারভেদে ২৪ কিংবা ৪৮ ডলারে রাখার সুযোগ থাকে। তবে অনেকেই মাসের পর মাস নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে বন্দরে কনটেইনার ফেলে রাখে। 

এতে দেখা দেয় পণ্য ও কনটেইনারজট। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ২১তম দিন থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, যা মঙ্গলবার থেকে বাস্তবায়িত হবে। চলতি মাসের শুরুতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ। দীর্ঘদিন বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে খালাস না নিয়ে রেখে দেওয়া এফসিএল কনটেইনারগুলোর ক্ষেত্রে এ বর্ধিত চার গুণ স্টোর রেন্ট আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ, যা আগামী ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে বন্দরের পরিবহন বিভাগ।

চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ রেট অনুসারে, ২১ ফুটের বেশি একটি পণ্যবোঝাই কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানোর প্রথম চার দিন বিনা খরচে রাখার সুযোগ আছে। এরপর প্রথম সাত দিন ভাড়া ১২ ডলার। এরপর অষ্টম দিন থেকে ২০তম দিন পর্যন্ত ২৪ ডলার। এর পর থেকে প্রতিদিনের ভাড়া ৪৮ ডলার, যা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে চার গুণ অর্থাৎ ১৯২ ডলার ভাড়া আদায়ে সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।  
এ ছাড়া, ৪১ ফুটের বেশি কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানোর প্রথম চার দিন বিনা খরচে রাখার সুযোগ আছে। এরপর প্রথম সাত দিন ভাড়া ১৮ ডলার। এরপর অষ্টম দিন থেকে ২০তম দিন পর্যন্ত ৩৬ ডলার। এর পর থেকে প্রতিদিনের ভাড়া ৭২ ডলার, যা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে চার গুণ অর্থাৎ ২৮৮ ডলার ভাড়া আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। 
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল হক বলেন, সম্প্রতি অনেক আমদানিকারক এফসিএল কনটেইনারভর্তি পণ্য এনে বন্দরের অভ্যন্তর থেকে খালাস না নিয়ে দিনের পর দিন বন্দরে স্টোর করে রাখে। এতে বন্দরের মধ্যে পড়ে থাকা কনটেইনারের পরিমাণ বেড়ে যায়। বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। এ কারণে বন্দরের সব ব্যবহারকারী ও আমদানিকারককে দ্রুত কনটেইনার খালাস নিতে অনুরোধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার), ২০০১-এর ১৬০ ধারার আলোকে কমন ল্যান্ডিং ডেটের ২১তম দিন থেকে চার গুণ বর্ধিত স্টোর রেন্ট কার্যকর করা হবে।
 
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে প্রায় ৪৯ হাজার কনটেইনার রাখার সক্ষমতা আছে। এর বিপরীতে গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত ৩৬ হাজার ২৪১টি কনটেইনার ছিল। এ সময় অকশন ইয়ার্ডে ৬ হাজার ৯৮৫ টিইইউএস কনটেইনার পড়ে ছিল। আর ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হয়েছে তিন হাজার ২৪ টিইইউএস এবং জাহাজে ওঠানো হয়েছে তিন হাজার টিইইউএস।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom