ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় : ৩ রাজ্য ও লাক্ষাদ্বীপে সতর্কতা জারি ভারতের
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : আরব সাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘুর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’র জেরে ৩ রাজ্য এবং লাক্ষাদ্বীপে সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। রাজ্যগুলো হলো গুজরাট, কেরালা ও কর্ণাটক।
লাক্ষাদ্বীপসহ এই তিনটি রাজ্যের অবস্থান আরব সাগরের তীরে। শনিবার এক টুইটবার্তায় আইএমডি জানিয়েছে, সাগরে উদ্ভূত হওয়ার পর থেকেই ‘বিপর্যয়’ উত্তর ও উত্তরপশ্চিমদিকে সরে যাচ্ছে। ভারতের কোনো উপকূলে সরাসরি এই ঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ঝড়ের গতিপথের মধ্যে গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক ও লাক্ষাদ্বীপের পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ কারণেই জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
‘বিপর্যয়’র প্রভাবে এই তিন রাজ্য ছাড়াও মহারাষ্ট্র ও গোয়ার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া দেখা দিতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইএমডির টুইটবার্তায়।
আরব সাগরের যে এলাকায় ঝড়টি অবস্থান করছে, সেখানে বর্তমানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গতি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটারে উন্নীত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। সেই সঙ্গে গুজরাট, কেরালা, কর্ণাটক, মুম্বাই, গোয়া ও লাক্ষাদ্বীপের মৎসজীবীদের সাগরে না যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আইএমডি।
সাগরের অশান্তভাব প্রকট হয়ে উঠতে থাকায় গুজরাটের ভালসাদ জেলার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা তিথাল সমুদ্রসৈকতে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই সৈকতটি আরব সাগরের তীরে অবস্থিত।
এছাড়া উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার মৎসজীবীদেরও আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত মৎস আহরণে সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপ্রশাসন।
গুজরাটের সুরাট জেলার কালেক্টর (জেলা প্রশাসক) বি কে বাসব ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এসইডআরএফ) কর্মীরা ইতোমধ্যে উপকূলীয় বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইএমডি জানিয়েছিল, আরব সাগরের যে এলাকায় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়েছে— সেখান থেকে ক্রমশ উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে আরব উপদ্বীপের দিকে এগোচ্ছে ঝড়টি। তবে শুক্রবার এক টুইটবার্তায় ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গতিপথে সামান্য পরিবর্তন এসেছে ঘূর্ণিঝড়টির। এ কারণে সরাসরি আরব উপদ্বীপে সেটির আছড়ে পড়ার সম্ভবনা কম।
‘বিপর্যয়’ নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। জাতিসংঘভিত্তিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ২০২০ সালে এই নামটি গ্রহণ করেছিল।