ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা লিটনের

ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা লিটনের

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হার। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পাকিস্তানের বিপক্ষেও শুরুটা হতাশাজনক। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৩৭ রানে হেরে গেছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।

পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েও ছিল নজরকাড়া ভুল। ম্যাচ শেষে স্পষ্টতই হতাশ ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। পারফরম্যান্স নিয়ে কোনো রকম রাখঢাক না করে তিনি স্বীকার করেন, দল তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ।

লিটন বলেন, ‘পুরো খেলায় আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি, ভালো ব্যাটিং করিনি, ভালো ফিল্ডিং করিনি।
আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না... কিন্তু আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। আমাদের এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। শুধু বোলিং আর ব্যাটিং না, ভালো ফিল্ডিংও করতে হবে। প্রথম ম্যাচে আমরা ফিল্ডিং ভালো করিনি।

লাহোরের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। মাঠের গতিও ছিল দ্রুত। এমন কন্ডিশনে ২০০ রান তাড়া সম্ভব বলেও মনে করেন অধিনায়ক। কিন্তু মাঝের ওভারে ধস নেমে সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ‘এই মাঠে ২০০ রান তাড়া করা সম্ভব, কারণ মাঠটা খুব দ্রুত, আর উইকেটটাও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল।
মাঝখানে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতেই হবে।’

দলের একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে জাকের আলীর প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছেন, একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে জয় সম্ভব নয়। ‘জাকের আলী, গত এক বছরে দারুণ খেলছে। সে এই মুহূর্তে আমাদের মূল খেলোয়াড়। কিন্তু একজন খেলোয়াড় দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। সবাইকে অবদান রাখতে হবে।’

মাঠের পারফরম্যান্স উন্নত করতে শুধুমাত্র অনুশীলনের ওপর ভরসা না করে মানসিক প্রস্তুতির ওপর জোর দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘আমার মতে, শুধু প্র্যাকটিস করলেই হবে না। মানসিকভাবে ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে হবে, মাঠে তা প্রয়োগ করতে হবে,’ বলেন লিটন।