গণদাবি মেনে এখনই পদত্যাগ করুন: টুকু

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক জনসমাবেশে এসব কথা বলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

গণদাবি মেনে এখনই পদত্যাগ করুন: টুকু

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, গণদাবি মেনে এখনই পদত্যাগ করুন, নইলে পালাবারও সময় পাবেন না। বাংলাদেশের মানুষ এই মুহূর্তে এই সরকারের পতন চায়। কারণ সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনে তারা অতিষ্ঠ। বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু তার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কিছু হলে বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে এবং কারো কা‌রো পিঠের চামড়া থাকবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য- এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন নিশ্চিত করা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকার পতনের আন্দোলনে আমরা রাজপথে আছি, ইনশাআল্লাহ থাকবো। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না আনা এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যুবদলের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে থাকবো, রাজপথ ছেড়ে যাবো না।’

জনসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, তাঁতী দলের জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, নরসিংদীর খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুরের ফজলুল হক মিলন, মুন্সিগঞ্জের কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, টাঙ্গাইলের হাসানুজ্জামিল, নারায়ণগঞ্জের সাখাওয়াত হোসেন, মানিকগঞ্জের এসএম জিন্নাহ কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল হালিম, আতাউর রহমান ঢালী, শাহজাদা মিয়া, মামুন আহমেদ, মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, ডা. রফিকুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, শরীফুল আলম, ওয়ারেস আলী মামুন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, নেওয়াজ হালিমা আরলি, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান পিংকু, হারুনুর রশীদ শিশির, গোলাম মোস্তফা সাগর, কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।