গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৪১ হাজার ছুঁইছুঁই
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব যেন থামছেই না। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় কমপক্ষে আরও ৩১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাণ্ডব চালায়নি।
সেখানকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, শরণার্থী শিবিরসহ প্রায় বেশিরভাগ স্থাপণাই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়।
এর আগে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন মানবাধিকার কর্মী আয়সেনুর ইজগি আইগি (২৬) দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইতার কাছে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় ইসরায়েলের বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী বানা আমজাদ বকর নামের এক শিশু ছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
প্রায় ১০ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে কমপক্ষে ৪০ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৪ হাজার ৬১৬ জন।
এদিকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ইসরায়েলি সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে রাজপথে নেমেছে। এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা। মূলত জিম্মিদের মুক্ত করে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের ভেতরে ও বাইরে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
জিম্মিদের উদ্ধারে ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতার জের ধরে পুরো দেশই উত্তাল হয়ে উঠেছে। অপরদিকে হামাস সতর্ক করেছে যে যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মি লাশ হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারে।