খুলনায় শিশু অঙ্কিতা হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

খুলনায় শিশু অঙ্কিতা হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

প্রথম নিউজ, খুলনা : খুলনার বহুল আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি প্রীতম রুদ্রের (৪৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একবছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অপর ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমান ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

বুধবার (২১ জুন) সকালে খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম।


রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দে’র মেয়ে অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা করের।


এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী রিক্তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় দৌলতপুরসহ খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ছয়দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেফতার করে।

হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ।