কায়সার কামালের মানহানি: ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে নিয়ে আপত্তিকর ও মানহানি বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেত্রী মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মবিনা জান্নাত নিষিদ্ধ সংগঠনটির বনানী থানা শাখার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মানহানিকর বক্তব্য ইউটিউবসহ সব সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আসামি আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্যের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। গত ২৫ মে বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনে ‘কায়সার-কামালকে-থামাবে-কে-আর-কত কেলেঙ্কারি’, ‘কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ’-এমন অপপ্রচার ছড়ায়। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সম্পর্কে মুদ্রিত ও প্রকাশিত এরূপ বিবৃতি ইচ্ছাকৃত, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য সৃজিত তথ্য প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়েছে। আসামি মবিনা জান্নাত কর্তৃক দায়েরকৃত বিচারাধীন একটি মামলায় আসামি জামিন পেয়েছেন। সেই মামলায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি শুনানিতে অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও ওই মামলার আসামি মবিনা জান্নাত কর্তৃক আহ্বান করা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন, মানহানিকর বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন এবং সাংবাদিকতার নিয়মনীতি ও বিধি লঙ্ঘন পূর্বক আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বক্তব্য শ্রবন না করে হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে একপাক্ষিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া, হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতি প্রচার এবং প্রকাশ করেন। এতে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তথা গোটা আইনজীবী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’