কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা পশু চিনবেন যেভাবে

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা পশু চিনবেন যেভাবে


 প্রথম নিউজ, ডেস্ক : একদিন পর ঈদুল আজহা। এই ঈদে পশু কুবরানি একটি কাজ। সবাই পছন্দের পশু কিনতে ছুটছেন এদিক ওদিক। হাট এখন গরু-ছাগলে সয়লাব।

কুরবানির ঈদে পশুর চাহিদা থাকে এমন চিন্তা থেকে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন। সেগুলো চড়া দামে ধরিয়ে দেন গ্রাহককে। এসব পশুর মাংস খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

কারণ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এসব পশুকে ফুলেফেপে বড় করা হয়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে,  কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃত-কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গবাদিপশু চেনার কিছু উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নেই ইনজেকশন দেওয়া কোরবানির পশু চিনবেন যেভাবে। 

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও ক্লান্ত

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে।  একটু হাঁটলেই হাঁপায়।  খুবই ক্লান্ত দেখায়।  ইনজেকশন দেওয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়।  স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।


খুব শান্ত

স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেওয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক মাংস মনে হবে।

লালা বা ফেনা

যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন।  এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।


আঙুলের চাপ

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে।  কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মোটা গবাদিপশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।

শরীরে পানি জমে

অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।

খাবার 

গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ। যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চায় না।

নাকের ওপরটা ভেজা

সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়। নাক ভেজা না থাকলে বুঝতে হবে গরুটি সুস্থ নয়।

পা ও মুখ ফোলা

বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নিরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না।

জাবর না কাটা

অসুস্থ গরুর শরীরে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর তাপমাত্রা থাকবে। দেখা যাবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। সামনে খাবার থাকলেও খাচ্ছে না, এমনকি জাবরও কাটছে না।

হাটে যাওয়ার পর উশকোখুশকো, চামড়ার ওপর দিয়ে হাড় বেরিয়ে পড়া পশু কিনতে চেষ্টা করুন। এগুলো কোনোরকম কৃত্রিম উপায় ছাড়াই বাজারে সরবরাহ করা হয়।  চকচক করা গরু বা ছাগলকে দেওয়া হয় ইনজেকশন।