কাজী ফার্মস ও সাগুনাকে সা‌ড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা

সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় দেয়।

কাজী ফার্মস ও সাগুনাকে সা‌ড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাজারে অস্বাভাবিকভাবে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ানোর অপরাধে কাজী ফার্মসকে ৫ কোটি টাকা এবং সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় দেয়। রা‌য়ে প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ এর ধারা ১৫ লঙ্ঘনের অপরাধে কাজী ফার্মসকে ৫ কোটি এবং সাগুনাকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‌‘কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্য বা সেবার উৎপাদন, সরবরাহ, বিতরণ, গুদামজাতকরণ বা অধিগ্রহণ সংক্রান্ত এমন কোনো চুক্তিতে বা ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আবদ্ধ হইতে পারিবে না যাহা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে বা বিস্তারের কারণ ঘটায় কিংবা বাজারে মনোপলি অথবা ওলিগপলি অবস্থার সৃষ্টি করে।’

আপিলের বিষয়ে আইনের ২৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন কমিশনের কোনো আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে উক্ত ব্যক্তি আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে উহা (ক) পুনর্বিবেচনার জন্য কমিশনের নিকট; অথবা (খ) আপিলের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ২০ এর অধীন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত কোনো প্রশাসনিক আর্থিক জরিমানা সংক্রান্ত আদেশ দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তাহার উপর আরোপিত জরিমানার- (ক) ১০% অর্থ কমিশনে জমা করিয়া পুনর্বিবেচনার; বা (খ) ২৫% অর্থ সরকারের নিকট জমা করিয়া আপিলের আবেদন জরিমানার জমার রশিদসহ, করিতে পারিবেন।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে চাল, আটা, ডিম, হাঁস-মুরগি এবং প্রসাধন সামগ্রীর মতো জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করার জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।

এর ম‌ধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে সিন্ডিকেট করার দায়ে কাজী ফার্মস গ্রুপের এমডি কাজী জাহেদুল হাসান, সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক, আলাল পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডের এমডি বা সিইও, নারিশ পোল্ট্রি ও হ্যাচারির পরিচালক, প্যারাগন পোল্ট্রির এমডি এবং সিপি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়।