এখন অভিজ্ঞতার চেয়ে গ্ল্যামারকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়- সুজাতা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান। সেই সময়ের দুই দেশেই ছিল পাকিস্তানি উর্দু ছবির জোয়ার। উর্দু ছবির সঙ্গে টেক্কা দেয়ার মত বাংলা সিনেমা তৈরি হচ্ছিল না। সেই সময়ে মরহুম সালাউদ্দিন তার ‘রূপবান’ সিনেমা তৈরি করে প্রমাণ করেছিলেন যে বাংলা ছবিও উর্দু ছবিকে টেক্কা দিতে পারে। ‘রূপবান’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে ইতিহাস তৈরি করেছিলো। আর এই ছবির মাধ্যমে নিজের সুনিপুণ অভিনয় রূপালী পর্দায় মেলে ধরেছিলেন নায়িকা সুজাতা। কিংবদন্তি এ অভিনেত্রী অভিনয় থেকে দূরে আছেন এখন। বেশিরভাগ সময় থাকছেন বাসাতেই।
সব মিলিয়ে কেমন আছেন? উত্তরে সুজাতা বলেন, এই বয়সে এসে যেটুকু ভালো থাকার চেষ্টা করা যায় সেই চেষ্টাটাই প্রতিনিয়ত করছি। এই বৈশ্বিক মহামারির সময়েও যে কথা বলছি, চলাফেরা করছি- তাতে আল্লাহুর কাছে হাজার শুকরিয়া। দীর্ঘদিন সিনেমা বা টেলিভিশনে আপনার উপস্থিতি চোখে পড়ে না। এর কারণ কি? এ অভিনেত্রী বলেন, আজকাল সিনেমা বা নাটকে যে গল্প থাকে তাতে আমাদের মতো শিল্পীর চরিত্র কই? ধীরে ধীরে মা-খালা, নানী-দাদীর চরিত্র সিনেমা-নাটক থেকে উধাও। দুঃখজনক বিষয় হলো- তুমি যতই অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বর্তমানে বিনোদন দুনিয়ায় ততই অপাংক্তেয়। এখন অভিজ্ঞতার চেয়ে গ্ল্যামারকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। একজন সুমিতা, রোজী, কবরী, শাবানা, ববিতা কি একদিনেই তৈরি হয়েছে? হাসতে হাসতে সুজাতা বলেন, আমি রূপবান কন্যা সুজাতার কথা নাই বা বললাম! এ অভিনেত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থাও খুব একটা ভাল না। দীর্ঘদিন ধরে এই সেক্টরে সিনেমা তৈরি কমে গেছে। সিনেমা হলের সংখ্যার দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যায়। আপনিতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন? সুজাতা বলেন, সরকারকে অসংখ্যা ধন্যবাদ আমার মতো নগন্য শিল্পীকে এই মর্যাদা দিয়েছেন। এর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মঞ্চে আজীবন সম্মাননা পেয়েছি। এ বছর একুশে পদকেও সম্মানিত করা হয়েছে আমাকে। একজন শিল্পীর জন্য দর্শকদের ভালোবাসার চাইতে বড় পুরস্কার আর হয় না। তবে জাতীয় স্বীকৃতিগুলো অনেক সম্মান ও গৌরবের।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews