একজিমা-ব্রণ প্রবণ ত্বকে যা করা যাবে না

একজিমা হয় শুষ্ক ত্বকে, চামড়া উঠে যাওয়ার মতো করে তা দেখা দেয়, থাকে স্পর্শকাতরতা। আর ব্রণ হয় তৈলাক্ত ত্বকে, লোপকূপে প্রদাহ তৈরি করে পুঁজ যুক্ত ফুসকুড়ি হিসেবে দেখা দেয়।

একজিমা-ব্রণ প্রবণ ত্বকে যা করা যাবে না
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সাধারণত ব্রণ ও একজিমা একসঙ্গে ত্বকে দেখা দেয় না। তবে ব্যতিক্রমও আছে। দুটোই ত্বকের প্রদাহ, দুটো সমস্যার প্রকাশও ভিন্ন। একজিমা হয় শুষ্ক ত্বকে, চামড়া উঠে যাওয়ার মতো করে তা দেখা দেয়, থাকে স্পর্শকাতরতা। আর ব্রণ হয় তৈলাক্ত ত্বকে, লোপকূপে প্রদাহ তৈরি করে পুঁজ যুক্ত ফুসকুড়ি হিসেবে দেখা দেয়।

এই বিষয়ে মায়ামি’র ‘বোর্ড সার্টিফায়েড ডার্মাটোলজিস্ট’ হিদার উলেরি-এললয়েড ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “শুষ্ক ত্বকেও ব্রণ হয়। তাই ব্রণ আর একজিমা একসঙ্গে দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। একজিমা সারাতে চাই প্রচুর আর্দ্রতা। আর ব্রণ নিরাময়ে দরকার ত্বকের তেল কমানো। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু কাজ অবশ্যই করা যাবে না।

ত্বক শুষ্ক করে এমন ব্রণের চিকিৎসা: ব্রণের চিকিৎসা অনেক সময় ত্বক থেকে বাড়তি তেল অপসারণ করে। এখন একজিমা হওয়া প্রবণতা থাকলে সেটা আরেক সমস্যা। একজিমা প্রবণ ত্বক ইতোমধ্যেই অনেক শুষ্ক, তাকে আরও শুষ্ক করে তোলাটা একজিমা এবং ব্রণ দুটো সমস্যাকেই আরও তীব্র করে তুলবে। ‘বেঞ্জল পেরোক্সাইড’, ‘উইচ হেজেল’ ইত্যাদি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। বরং ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ‘রেটিনয়েড’ ব্যবহার করা যেতে পারে।

মাত্রাটি অবশ্যই চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন, অন্যথায় একজিমা বেড়ে যেতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য প্রযোজ্য ‘রেটিনয়েড জেল’ ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে এগুলো। আর জ্বালাপোড়া বা যে কোনো অস্বস্তি হলে দুয়েক দিন পর পর ব্যবহার করতে হবে।

অতিরিক্ত পরিষ্কার করা: ত্বক পরিষ্কার রাখা ব্রণ নিরাময়ের জন্য জরুরি। তবে তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাড়বে ত্বকের শুষ্কতা। ডা. এললয়েড বলেন, “হালকা পরিষ্কারক ব্যবহার করা সবদিক থেকে নিরাপদ। একজিমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ব্রাশ, স্ক্রাব, ‘এক্সফোলিয়েটর’ ব্যবহার না করাই ভালো। ‘এক্সফোলিয়েট’ যদি করতেই হয়, বেছে নিতে হবে ‘ম্যানডেলিক’ কিংবা ‘ল্যাকটিক অ্যাসিড’ সমৃদ্ধ প্রসাধনী।”

ময়েশ্চারাইজার বাদ দেওয়া: ত্বকে ব্রণ হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার প্রবণতা বাড়ে। এললয়েড বলছেন, “ত্বক ভালো রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার অত্যন্ত জরুরি। ব্রণ হয় এমন শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করা ‘সেরামাইড বেইজড ময়েশ্চারাইজার’। একজিমার চিকিৎসায় ব্যবহার করা ‘রেটিনয়েড’ সহ্য করা ক্ষমতা বাড়াবে এই ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের জৈবিক আবরণকেও সুরক্ষিত রাখে এটি।”

হুট করে চিকিৎসা: এললয়েড বলেন, “একজিমা হয় এমন ত্বকে ব্রণ হলে হুট করেই তাতে ব্রণের চিকিৎসা শুরু করা যাবে না। একটি ওষুধ বা প্রসাধনী দিয়ে শুরু করতে হবে, ত্বকের প্রতিক্রিয়া বুঝতে সময় নিন। হুট করেই একাধিক ওষুধ ত্বকে প্রয়োগ করা যাবে না।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom