উস্কানিমূলক পোস্ট, পুলিশ হেফাজতে হিন্দু বিভাগীয় নেতা
শনিবার রাতে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ এ তথ্য দিয়েছেন।
প্রথম নিউজ, বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জে ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোট রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন কুমার মোহন্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ এ তথ্য দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুমন কুমার মোহন্ত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের নিত্য নারায়ণ মোহন্তের ছেলে। তিনি নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোট রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দাবি করেন।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে তার ফেসবুক আইডি থেকে ফরিদপুর জেলার মধুখালীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। এটি পুলিশের নজরে এলে বিকাল ৩টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা বাজার থেকে সুমন কুমার মোহন্তকে জেলা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ সময় একটি স্মার্টফোন ও একটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ বলেন, বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে তার মোবাইল ফোনটি পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই চলছে। তাই এখনওই সুমন কুমার মোহন্তকে আটক বা গ্রেফতার বলা যাচ্ছে না। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে কালীমন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্মাণ শ্রমিক দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হামলায় আহত পাঁচজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতাল ও মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। স্কুলের পাশের ওই মন্দিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্কুলে থাকা নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর স্থানীয় কয়েকশ মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে স্কুলের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন গ্রিল ও দরজা ভেঙে তাদের ওপর হামলা চালান।