ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ১১ বাসকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
রোববার (২ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও আহসান হাফিজ।
প্রথম নিউজ, নোয়াখালী: পবিত্র ঈদুল আজহাকে পুঁজি করে বাসের টিকিট ২৫০ টাকা বেশি ভাড়ায় বিক্রি করায় ঢাকা থেকে নোয়াখালী রুটের বাস সোহা ট্রান্সপোর্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় সোহা, লাল সবুজ, একুশে, হিমাচল, সুগন্ধা পরিবহনসহ বিভিন্ন বাসকে ১১টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (২ জুলাই) বিকেলে জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও আহসান হাফিজ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কোরবানির ঈদকে পুঁজি করে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে ঢাকা থেকে নোয়াখালী রুটে চলা এ পরিবহনগুলো। এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের নির্দেশনা দেন। এদিন বিকেলে জেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, পিটিআই মোড়, মাইজদী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও আহসান হাফিজ। এসময় ২৫০ টাকা বেশি ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করায় সোহা ট্রান্সপোর্টকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তারা। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া রাখাসহ প্রয়োজনীয় কাগজের হালনাগাদ না থাকা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সিগনাল না মানায় বিভিন্ন ধারায় লাল সবুজ, একুশে, হিমাচল, সোহা, সুগন্ধা পরিবহনসহ একাধিক পরিবহনকে সর্বমোট ১১টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি তাৎক্ষনিকভাবে জরিমানা আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাশ ও আহসান হাফিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্ধারিত ভাড়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান স্যারের কাছে অভিযোগ আসে। স্যারের নির্দেশনায় আজ আমরা এ অভিযানটি পরিচালনা করি। এসময় মোট ১১টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি তাদের সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয়, সে বিষয়ে এ পরিবহনগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আবারও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে সহযোগিতা করেন বিআরটিএ নোয়াখালীর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজিত রায় ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।