ইরানের মোরালিটি পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

বৃহস্পতিবার ওই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২২ বছরের মাহশার মৃত্যুর জন্য তারা ইরানি পুলিশকেই দায়ী মনে করছে। এ খবর দিয়েছে সিএনবিসি।

ইরানের মোরালিটি পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইরানের মোরালিটি পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: ইরানি তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় এবার দেশটির মোরালিটি পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ওই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ২২ বছরের মাহশার মৃত্যুর জন্য তারা ইরানি পুলিশকেই দায়ী মনে করছে। এ খবর দিয়েছে সিএনবিসি। গত এক সপ্তাহ ধরে ইরানের অন্তত ৩০ শহরে হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। ইরান হিউম্যান রাইটস নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ৩১ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর এসেছে। বিক্ষোভ দমনে সহিংস আচরণ করায় ইরানের মোরালিটি পুলিশকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। তারা ইরানের সাত সিনিয়র সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। মোরালিটি পুলিশ যা মূলত হিজাব পুলিশ নামেই বেশি পরিচিত, তাদের নির্যাতনে গত সপ্তাহে মারা যান মাহশা আমিনি। তাকে রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে নির্যাতন করতে দেখেছেন প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা। মাহশার পিতাও জানিয়েছেন, তার মেয়ের পায়ে আঘাত করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, মাহশার শারীরিক সমস্যা থাকার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এমন দাবি কেউ মানছে না। দেশটিতে হিজাবের জন্য এ ধরণের নির্যাতন সাধারণ ঘটনা।

ইরানের এই মোরালিটি পুলিশের স্থানীয় নাম গাশ্ত-ই এরশাদ বা নির্দেশ টহলদার। রাস্তায় কেউ ‘অনৈতিক’ পোশাক পরেছে মনে হলে তাকে আটক করার নির্দেশ রয়েছে তাদের। যদিও মূলত নারীদেরই টার্গেট করেন এ পুলিশের সদস্যরা। ইরানে প্রচলিত শরিয়া আইন অনুযায়ী নারীদের হিজাব পরা বা চাদর দিয়ে মাথা ঢাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও নারীদের শরীর সম্পূর্ণ ঢেকে রাখতে পা পর্যন্ত লম্বা ও ঢিলা পোশাক পরার বিধান দেশটিতে রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ইরানে এই নিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা এখন শুধু মাহশা আমিনির হত্যার বিচারই চাচ্ছেন না, তারা ইরানের গোটা আইনই পরিবর্তনের দাবি তুলছেন। অনেকেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পতনের ডাক দিয়েছেন। এক সপ্তাহ পর এসে আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। প্রথমে তেহরান ও উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে আন্দোলন হলেও এখন গোটা ইরানেই তা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সরকার ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেয় যাতে অনলাইনেও মানুষ ক্ষোভ দেখাতে না পারে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom