আ.লীগের মূলধারার রাজনীতি গণতন্ত্রকে হত্যা করা: রিজভী
তিনি বলেন, মূলধারার রাজনীতি কী ১০ লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করা
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মূল ধারার রাজনীতি কী ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা?
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশব্যাপী জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সাংগঠনিক দায়িত্ব বন্টন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটা বক্তব্য শুনে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না। তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, বিএনপি মূল ধারার রাজনীতি থেকে সরে গেছে।
ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মূল ধারার রাজনীতি কি? ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা? কানাডায় বেগমপাড়া বানানো? দুর্নীতি লুটপাট করা? বিরোধী দল ও মতের লোকদের গুম করা নিরুদ্দেশ করা? বিরোধী দলের তরুণ প্রজন্মদেরকে গুম করা? ভোট ডাকাতি করা? দিনের ভোট রাতের করা? বিএনপি ওই রাজনীতি বিশ্বাস করে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনাদের রেখা আর আমাদের রেখা যদি সমান্তরাল ভাবে ধরি আমাদের রেখাটা হবে উপরে আপনাদেরটা সমান্তরাল হবে নিচে দিকে। আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসে সর্বপ্রথম গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। আর আপনারা বলেন মূল ধারার রাজনীতি। আপনাদের মূল ধারার রাজনীতি তো হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। জনগণকে কথা বলতে না দেওয়া। সংবাদমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে আপনাদের রাজনীতি। এটা হচ্ছে আপনাদের মূল ধারার রাজনীতি।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি হচ্ছে গণতন্ত্রের সকল বন্ধ দরজা খুলে দেওয়া এটাই করেছে আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার সহধর্মিণী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপনারা বারবার গণতন্ত্রের দরজায় তালা মেরেছেন আর সেই তালা ভেঙেছে বিএনপি। সুতরাং আপনাদের সাথে আমাদের তো পার্থক্য হবেই।
তিনি বলেন, ‘আপনারা হত্যা ও ঘাতকদের সংকীর্ণ পথ দিয়ে হেঁটে যান। আমরা শান্তির প্রশস্ত পথ দিয়ে হেঁটে যাই। তাই আমরা জনগণের ভোট ও দিনের ভোটে বিশ্বাস করি। আর আপনারা রাতের ভোট ও জনগণ বিহীন ভোটকেন্দ্রে বিশ্বাস করেন। বিরোধী দলের নেতাদের নির্যাতন গুম-খুন করা বিশ্বাস করেন। তাই ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাদের সাথে আমাদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন আইন প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘আপনারা (সরকার) আইন করেছেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বলা ছিল কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আইনের একটা নির্দেশনা ছিল। সেটাই আপনারা করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘মানুষ কী বলে জানেন? আগামী সংসদ নির্বাচন কারসাজি করার জন্য এটা একটা মাস্টার প্ল্যান। এটা কোন আইন নয়। এটা শেখ হাসিনা মাস্টার প্ল্যান। আওয়ামী লীগের চেতনার লোকজনকেই নির্বাচন কমিশন করা হচ্ছে এবং যে সার্চ কমিটি গঠন হচ্ছে তারাও আওয়ামী চেতনার লোক। এর আগে ১৫৩ জন বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিল তারা। তারপরে দিনের ভোট ভোররাতে করেছিল সামনেও ওই ধরনের ভোট করার চিন্তা ভাবনা থেকেই তারাই মাস্টার প্ল্যান করছে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের একটা শক্তি আছে। সেই শক্তি যখন বিস্ফোরিত হবে তখন কোন ট্যাঙ্ক, কোন বন্দুক, কোন কামান, কোন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও কোন কিছুই কাজে আসবে না।
অনুষ্ঠানে কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: