‘আমার ভাই মায়ের মরা মুখটা দেখতে পারবে না- এটা কি হতে পারে’
রোববার বিকালে জেলার গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মায়ের জানাজা নামাজের আগে তিনি এ অভিযোগ করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আদালত প্যারোলে মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করলেও কারাবন্দি বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। সরকার তাকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। রোববার বিকালে জেলার গোপালপুর উপজেলার গুলিপেচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মায়ের জানাজা নামাজের আগে তিনি এ অভিযোগ করেন। টুকু বলেন, আমার মায়ের জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য আমার ভাই সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু আসতে চেয়েছিলেন। সেজন্য প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু প্যারোলের আবেদন আদালত মঞ্জুর করলেও সরকার তাকে জেলখানা থেকে বের হতে দেয়নি। এ ঘটনাকে আমরা নিন্দা জানাই, ধিক্কার জানাই। মহান রাব্বুল আলামিন এর বিচার একদিন করবে।
এসময় টুকু আরও বলেন, এই নির্যাতন নিপীড়ন কখনোই ভালো পথ দেখায় না। যারা করছেন তারা বিরত হন, থামেন। অনেক করেছেন। এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন আমার ভাই পিন্টু। সকলেই তাকে চিনেন ভাল মানুষ হিসেবে। আমার ভাই তার মায়ের মরা মুখটা দেখতে পারবে না এটা কি হতে পারে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মা মোছা. সালমা বেগম (৯০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৮ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সালমা খাতুনের মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। এদিকে সালমা বেগমের মৃতদেহ তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের গুলিপেচা এলাকায় আনা হলে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজর নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা একনজর দেখতে ভিড় করেন।
জানাজায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসির, কৃষক দলের সহসভাপতি মাইনুল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. রাসেল, যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, জেলা উপজেলাসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে গুলিপেচা পারিবারিক কবরস্থানে সালমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।