আমি বোকা ছিলাম, তাই অন্তরঙ্গ দৃশ্যধারণের অনুমতি দিয়েছিলাম: প্রভা
ব্যক্তিগত কেলেংকারির জন্য কিছু সময় কর্মজীবনের ভাটা পড়ে তার। ভিডিও স্ক্যান্ডাল নিয়ে যথেষ্ট খেসারত দিতে হয়েছে তাকে।
প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক : সাদিয়া জাহান প্রভা একজন বাংলাদেশি মডেল এবং ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মিডিয়া জগতে তার আগমন ঘটে মডেলিংয়ের মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর তিনি কয়েকটি খণ্ডনাটকে অভিনয় করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ব্যক্তিগত কেলেংকারির জন্য কিছু সময় কর্মজীবনের ভাটা পড়ে তার। ভিডিও স্ক্যান্ডাল নিয়ে যথেষ্ট খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকার কারণে হারিয়ে যাননি অভিনয় জগৎ থেকে। ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে। তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ১২ বছর আগে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে এবার নতুন করে মুখ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রভা। এ নিয়ে রোববার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন তিনি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে এটি তুলে ধরা হলো।
প্রভা বলেছেন- ‘সাবেক গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ডের কোনো অন্তরঙ্গ বিষয় ফাঁস করা অপরাধ। যেমনটা অ্যাসিড নিক্ষেপ করা অপরাধ; কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া কোনো অপরাধ নয়।’ প্রভা বলেন, ‘কেউ যদি আপনাকে হতাশ করে তাহলে তার প্রতি হিংস্র হতে পারেন না আপনি, এটা একটা অপরাধ।’ অন্তরঙ্গ সেই ভিডিওটি ১২ বছর আগের; কিন্তু এটি জনসাধারণের বিনোদনের জন্য ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বোকা ছিলাম তাই দৃশ্যধারণের অনুমতি দিয়েছিলাম (যদিও তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন); কিন্তু তার অর্থ এই নয় আমি একজন ... স্টার।’
প্রভা বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী এবং এটি আমার একমাত্র পেশা। সেই বোকামির জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি আমি।’ ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও বলেন, কিছু মানুষকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে পরিত্যাগ না করে সম্মান করে। তারা আমার প্রশংসা করে। আমার মতো অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করে শুধু এই বিচারমূলক সমাজকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। এ সমাজ ভন্ডে পরিপূর্ণ। তারা নিজেদের জন্য কাজ করে এবং তারপরও অন্যদের বিচার করে।
প্রভা বলেন, ‘কিন্তু আমি একজন যোদ্ধা এবং নিজেকে নিয়ে খুব গর্বিত। এই বেকুব বিচার, ভন্ডামি ও দ্বৈতমানের সমাজ আমাকে আটকাতে পারবে না। ধারণা কী? আমি আসলে অনেক মানুষ দ্বারা অনুপ্রাণিত যে, কিভাবে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয় এবং কখনই হাল ছাড়ি না।’
সবশেষ প্রভা বলেন, ‘যারা সাইবার বুলিং করে তারা খুবই সস্তা, অশিক্ষিত (যদিও তারা শিক্ষিত)। তাদের নিজের প্রচুর নোংরামো রয়েছে যা তারা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণে অন্য লোকদের ধমক দিতে শুরু করে।’