আইডিয়ালে নিয়োগ-ভাতায় ৪০০ কোটি লোপাট, নড়েচড়ে বসেছে দুদক
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ও বিভিন্ন শাখার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাতার নামে বেতন-ভাতার পরিমাণ এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯০ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সরকার।
প্রথম নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধ নিয়োগ ও ভাতার নামে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদকও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় চলমান অনুসন্ধানে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ও বিভিন্ন শাখার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাতার নামে বেতন-ভাতার পরিমাণ এবং অবৈধ প্রক্রিয়ায় ৩৯০ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান সরকার। আইডিয়াল স্কুল ও দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি সপ্তাহে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর পাঠানো পৃথক চিঠিতে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ও বিভিন্ন শাখার অধ্যক্ষ/শিক্ষকদের দায়িত্ব ভাতার নামে ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বেতন-ভাতার অতিরিক্ত কী পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছে তার তথ্য।
২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা কী পরিমাণ ছুটি ভোগ করেছেন এবং ছুটি ভোগ করে না থাকলে তার পরিবর্তে টাকা গ্রহণ করেছেন কি না, তার বিবরণ। একই সময়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খাত ভিত্তিক আয়, ব্যয় ও সঞ্চয়ের অডিট রিপোর্টসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নিয়োগ সংক্রান্ত যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগ করা শিক্ষকদের নাম, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি ও নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশনের কপি। প্রতিষ্ঠানের কোন শ্রেণিতে কতটি করে শাখা রয়েছে এবং এসব শাখা খোলার অনুমোদনের কপি। ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডিতে দায়িত্ব পালনকারীর সদস্যদের নাম ও ঠিকানার বিস্তারিত তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদক আইন ও বিধি অনুসরণ করে আইনি ব্যবস্থা নেবে। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) যুগ্ম পরিচালক এবং এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রধান বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া সর্বশেষ ১৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আইডিয়ালের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি আনা হয়েছে। অবৈধ ভর্তি নিয়ে আলাদা একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমার দেওয়ার কাজ চলছে। কত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। খুব সতর্কতার সঙ্গে সব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংখ্যাটা অনেক লম্বা, তা-ই প্রকৃত সংখ্যাটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ, সব সংঘটিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম এবং আলোচিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খানের আমলে। এসব বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত এক দশকে প্রতিষ্ঠানের নানা খাতে ব্যয় দেখিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাট করা হয়েছে। এর পেছনের কারিগর হিসেবে সাবেক অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সভাপতি, সদস্য ও এক সহকারী প্রকৌশলীর নাম এসেছে।
ভাতা বাবদ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সম্মানী হিসেবে সভাপতি ২৫ হাজার, সদস্য ছয় হাজার এবং অফিস সহকারী তিন হাজার টাকা করে নিতেন। এ ছাড়া, নৈমিত্তিক ছুটি না কাটানোর বিপরীতে শিক্ষকরা নিয়েছেন ২০ কোটি টাকা। যোগ্য হওয়ার আগেই পদোন্নতি দিয়ে ৫২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি চক্র। টেন্ডার ছাড়াই নগদ খরচ করা হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা এবং এফডিআরের ৭০ কোটি টাকার লাভ নিজেদের পকেটে পুরেছেন চক্রের সদস্যরা।
নৈমিত্তিক ছুটির বিষয়ে জানা যায়, আইডিয়াল স্কুলে ২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করায় তিন শাখার শিক্ষক-কর্মচারীরা মোট ২০ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৮ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এর মধ্যে মতিঝিল শাখার বাংলা ভার্সনে সাত কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার, মতিঝিল কলেজ শাখায় দুই কোটি ৩২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, বনশ্রী বাংলা ভার্সনে পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, মুগদা বাংলা ভার্সনে তিন কোটি নয় লাখ ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও ডিআইএ’র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী, এ তিন শাখায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ যাচাই-বাছাই করে ৩৯০ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। যার মাধ্যমে শত কোটি টাকার বেশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানের মূল শাখা মতিঝিলে ২৩১ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি নীতিমালা। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে গভর্নিং বডি (জিবি) নিজেদের ইচ্ছা মতো নিয়োগ দিয়েছে। রয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ নেই। কারো কারো রয়েছে জাল সনদ। এভাবে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় শত কোটি টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন। যেহেতু অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ, তাই বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিধিবহির্ভূতভাবে নেওয়া বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে বলেও জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১১ সালে মার্চ মাসে অতিরিক্ত ৪২ শিক্ষকসহ ১১১ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তাদের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন দেওয়া হচ্ছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অনেকেরই নেই নিবন্ধন সনদ।
ডিআইএ’র প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮৯ শিক্ষক এবং ২০২১ সালে আরও ৬৯ শিক্ষককে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব শিক্ষক গড়ে পৌনে তিন লাখ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন। ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২১ সালে মুগদা শাখায় শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে ৩৮ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সময়ে বনশ্রী শাখায় ৬৯ জনকে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বনশ্রী বাংলা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বোর্ডে মাউশি অধিদপ্তরের প্রতিনিধি না থাকায় তার নিয়োগও অবৈধ বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।
ডিআইএ তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া সর্বশেষ ১৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আইডিয়ালের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি আনা হয়েছে।
আছে অবৈধ ভর্তির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৯ সালে মতিঝিল শাখায় এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণেরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। টেস্ট পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হন তাদের কাছ থেকে বিষয়প্রতি ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করে ফরম পূরণের সুযোগ দেন অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। পরে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ওই পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয় বলে জানা গেছে
এ ছাড়া, আছে অবৈধ ভর্তির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যোগসাজশে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৯ সালে মতিঝিল শাখায় এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণেরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। টেস্ট পরীক্ষায় যেসব শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হন তাদের কাছ থেকে বিষয়প্রতি ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করে ফরম পূরণের সুযোগ দেন অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। পরে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ওই পরীক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করা হয় বলে জানা গেছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখা, বনশ্রী ও মুগদা শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। জানা যায়, শিক্ষার্থীপ্রতি চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। প্রাথমিকভাবে স্কুল ফান্ডে ওই টাকা জমা হলেও পরবর্তীতে অধ্যক্ষসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তা ভাগ করে নেন। এভাবে শাহান আরা বেগম দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘বিশেষ ক্লাসের’ নামে বাধ্যতামূলক অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। ওই অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছিল। ওই সময় অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত জব্দ করে দুদক। ২০১৯ সালের মে মাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র ঘষামাজা করে নম্বর দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের সঙ্গে আরও একটি নাম বারবার উচ্চারিত হয়েছে। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান খান। তার বিরুদ্ধেও পৃথক একটি অনুসন্ধান চলমান। ভিশন- ৭১ ডেভেলপার কোম্পানির মালিক আতিক ও অধ্যক্ষ শাহান আরা মিলেমিশে লুটপাট চালিয়ে নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, আফতাব নগরে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত ১০তলা ভবনের এভারকেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আর্থিক জোগান এসেছে তাদেরই দুর্নীতির টাকায়। যার বর্তমান অধ্যক্ষ শাহান আরা।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক আফনান কেয়ার নেতৃত্বে একটি দল অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।