এই প্রথম সংক্রামক এপস্টাইল-বার ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা

এই প্রথম সংক্রামক এপস্টাইল-বার ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম নিউজ, অনলাইন: গবেষকরা এই প্রথম Epstein-Barr virus (EBV) এপস্টাইন-বার ভাইরাস দমনে টিকা আনলেন। অস্ট্রেলিয়ার মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ‘নেচার’ জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে। এই ভাইরাস জেনিটাল হার্পিস, চর্মরোগ, গ্ল্যান্ডুলার ফিভার সহ ক্যানসার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসেরও কারণ। EBV, ভাইরাসের হারপিস পরিবারের সদস্য। এটি  লালা নিঃসরণের  মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশ এই ভাইরাসটি বহন করে, বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমণ শৈশবকালে ঘটে এবং কোনও উল্লেখযোগ্য লক্ষণ ছাড়াই সুপ্ত থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার কিউআইএমআর বার্গোফার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের দল ইঁদুরের লিম্ফ নোডকে লক্ষ্য করে এই ভ্যাকসিন ডিজাইন করতে সক্ষম হয়েছে। এতটাই চুপিসাড়ে শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস যে তাকে জানতে ও বুঝতে অনেকটাই সময় চলে যায়। ফলে রোগী তার চরম পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। সেই সংক্রামক এপস্টাইল-বার ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা।

এই ভ্যাকসিনটি EBV-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শুধুমাত্র অ্যান্টিবডি এবং T কোষগুলিকে সক্রিয় করেনি, পাশাপাশি এটি একটি নির্দিষ্ট ধরনের অনাক্রম্যতা প্ররোচিত করার ক্ষমতাও প্রকাশ করেছে যা EBV-সম্পর্কিত টিউমারগুলির উত্থানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। কিউআইএমআর বার্গোফার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজিস্ট রাজীব খান্না বলেছেন- রোগীদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনের ডোজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে যা টিউমার কোষের বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে। 

তাছাড়া ঘাতক টি-কোষ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করে টিউমার বা ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। সত্যিকারের বিপদ দেখা দেয় যখন একজন ব্যক্তি এই প্রাথমিক ইনোকুলেশন মিস করেন এবং পরবর্তী জীবনে, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে EBV-এর শিকার হন। শুরুটা সর্দি-কাশি, জ্বর, গায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা দিয়ে শুরু হয়। তারপর লালাগ্রন্থির মধ্যে বংশবিস্তার করতে থাকে ভাইরাস। মারণ রোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে এই ভাইরাস। সেইসাথে গলা, নাকে  ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। মানব শরীরে চূড়ান্ত প্রয়োগের আগে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে