অব্যাহতভাবে বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেভেলের সাক্ষাৎ-বৈঠক এমনকি সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি অভিন্ন বার্তা স্পষ্ট করেছেন।

অব্যাহতভাবে বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক

প্রথম নিউজ, অনলাইন: অব্যাহতভাবে একটি বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেভেলের সাক্ষাৎ-বৈঠক এমনকি সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি অভিন্ন বার্তা স্পষ্ট করেছেন। তাহলো- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এখনই বিরোধী দল এবং ভিন্নমতের লোকজনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা এবং অবিশ্বাস দূর করতে হবে। এমন কোনো ম্যাকানিজম বের করতে যাতে স্টেকহোল্ডাররা এটি বিশ্বাস করেন যে, নির্বাচনটি অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার সমান সুযোগ থাকবে।

বিরোধীদের আস্থায় নেয়ার এই উদ্যোগ সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন যে কেউ নিতে পারে। দায়িত্বশীল একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কিত বৃটেন। এ জন্য হাইকমিশনার এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফর করে যাওয়া বৃটিশ সরকারের প্রতিনিধিদের প্রায় সকলেই দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছেন।

হাইকমিশনার তথা বৃটিশ সরকার মনে করে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার আগাম গ্যারান্টি পেলে বৃটেনের বড় বড় বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে, অন্যথায় বিদ্যমান বিনিয়োগে টান পড়া  তথা দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে। তবে দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র এটাও জানিয়েছে যে, বিরোধীদের মধ্যে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হওয়ার যে বার্তা দিচ্ছে বৃটেন তাতে খুশি নন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্বরা।

এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বলা হলেও কূটনৈতিক ভাষায় এটা খোলাসা করা হয়েছে যে, সরকার সংবিধানের বাইরে যেতে অনিচ্ছুক। বৃটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিনিধিরা মনে করেন, নির্বাচন, সংলাপ এবং সমঝোতার আকাঙ্খায় বৃটেন যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে তা থেকে তারা সরবে না। আগামী মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় দুই দেশের মধ্যকার স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগেও  এসব বিষয় তুলবেন বৃটিশ সরকারের প্রতিনিধিরা। 

অবশ্য ঢাকার তরফে সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি কী হতে পারে তা ধরে নিয়েই ব্যাখ্যামূলক জবাবের প্রস্তুতি চলছে। ওই সংলাপে নেতৃত্ব দিতে বৃটিশ পররাষ্ট্র সচিব (পারমানেন্ট আন্ডার  সেক্রেটারি) ফিলিপ বার্টন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকা আসছেন।