অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য, ফেক ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে যা করবেন

অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য, ফেক ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে যা করবেন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: কেউ যদি আপনার অসম্মতিমূলক ফেক ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়, যার জন্য  সম্মানহানি হচ্ছে-এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তাহলে সেগুলো অপসারণের জন্য আপনি গুগলকে অনুরোধ করতে পারেন। তবে আগে দেখে নিতে হবে সেই কনটেন্ট অপসারণের জন্য সব প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে কিনা। অর্থাৎ কনটেন্টটি আসলেই অপসারণ করা প্রয়োজন কিনা।

দেখে নিন কোন ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে নিতে অনুরোধ করতে পারবেন এবং কিভাবে করবেন।

১. ফেক ছবি বা ভিডিও। আজকাল সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রেটিরা ডিপফেকের কবলে পড়ছেন। যদিও জনপ্রিয় তারকাদের ব্যাপারে এটি যে ডিপফেক বা এডিটিং তা বোঝা গেলেও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এত খতিয়ে দেখা হয় না। ফলে এতে ভিকটিমকে ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই অপসারণের জন্য ছবিগুলো নকল এবং নগ্ন বা যৌনতা স্পষ্ট এমন ছবি সম্মতি ছাড়াই শেয়ার করা হয়েছে।

২. ব্যবহারকারীদের অনুমোদিত প্রতিনিধি একটি অপসারণের অনুরোধ জমা দিতে পারে। যদি একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি নিজেদের পক্ষে জমা দেয়, তবে তাদের অবশ্যই নিজেদের হয়ে কাজ করার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রদত্ত ফর্মের মাধ্যমে আপত্তিকর বিষয়বস্তুর ইউআরএল জমা দিতে হবে।

৩. প্রয়োজনীয় বিবরণসহ ফরমটি পূরণ করে একটি অপসারণের অনুরোধ জমা দিতে হবে। আপনার অনুরোধ যে তারা গ্রহণ করেছে তা বুঝবেন যদি একটি স্বয়ংক্রিয় ই-মেইল পান গুগলের কাছ থেকে।

৪. আরও বিশদ বিবরণের প্রয়োজন হলে গুগল আরও তথ্য জানতে চাইতে পারে। অনুরোধে পর্যাপ্ত বিবরণের অভাব থাকলে, তারা পুনরায় তা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেবে।

৫. গৃহীত যে কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে ব্যবহারকারীদের অবহিত করা হবে। যদি সেই অনুরোধ অস্বীকার করা হয়, তাহলে একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত উপকরণসহ অনুরোধটি পুনরায় জমা দিতে পারেন।

৬. বিলম্ব এড়াতে প্রাথমিক অনুরোধে সব প্রয়োজনীয় বিবরণ এবং ইউআরএল প্রদান করা নিশ্চিত করতে হবে।

৭. যদি অন্য কেউ নিজেদের পক্ষে তা জমা দেয়, তবে তাদের অবশ্যই স্পষ্টভাবে তা ব্যাখ্যা করতে হবে।

৮. গুগল অনুরোধ করলে অতিরিক্ত তথ্য প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ