৬৫৩ বুলেট হারানোয় পুরো শহরে লকডাউন

মঙ্গলবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শহরটিতে ২৫ ফেব্র“য়ারি থেকে ১০ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হয়।

৬৫৩ বুলেট হারানোয় পুরো শহরে লকডাউন
৬৫৩ বুলেট হারানোয় পুরো শহরে লকডাউন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: এরই নাম কিমকাণ্ড! নিজের মর্জির ষোলো আনা দাম দিতে জুড়ি নেই উত্তর কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্টের। সম্প্রতি ৬৫৩টি বুলেট হারানোর জন্য পুরো একটি শহরে লকডাউন জারি করে দিয়েছেন। দেশটির হাইসান শহরের জন্য এই ঘোষণা দেওয়া হয়। কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা রেডিও ফ্রি এশিয়া। মঙ্গলবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শহরটিতে ২৫ ফেব্র“য়ারি থেকে ১০ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়া শেষ হতেই দেখা যায় তাদের কাছে ৬৫৩টি বুলেট নেই। প্রথমে তারা নিজেরাই বুলেট খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। আর এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শহরে লকডাউন জারি করেন কিম।  স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। তারা পুরো শহরটি সিল করে দিয়েছে এবং ঘরে ঘরে তল্লাশি শুরু করেছে। যতক্ষণ বুলেট খুঁজে না পাওয়া যাবে শহরটি লকডাউনে থাকবে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইসান শহরটিতে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস। গত সপ্তাহেই এখানকার কারখানা, খামার, সামাজিক গোষ্ঠী এবং প্রতিবেশী ওয়াচ ইউনিটগুলোকে গোলাবারুদ সম্পর্কিত তদন্তে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার জন্য আদেশ জারি করা হয়েছিল। স্থানীয়দের অনেকে মনে করছেন, আবাসিকদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে। 
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর ১০ দিন পার হয়ে গেছে। তবে এখনো বুলেটগুলোর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। যারা গুলি দেখেছেন বা নিয়েছেন তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট করতে হবে। এরপরও কারও কাছে বুলেট পাওয়া গেলে তাদের কঠোর শাস্তি হতে পারে। 

রায়ংগং প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানান, হাইসান শহরের বাসিন্দারা এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লকডাউন তাদের স্বাধীন ভাবে চলাচলকে আরও ব্যাহত করেছে। তারা ভয় পাচ্ছে। যদি এর কোনো সঠিক সমাধান না হয় তবে কর্তৃপক্ষ এলোমেলোভাবে কাউকে শাস্তি দিতে পারে। যে কিনা সম্পূর্ণ নির্দোষ। কিছু বাসিন্দা বলছেন, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি করছে। যা যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে।
 Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:।