২০১৪ এবং ২০১৮ বাংলাদেশে আর আসবে না : কর্নেল অলি

গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এলডিপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

২০১৪ এবং ২০১৮ বাংলাদেশে আর আসবে না : কর্নেল অলি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, সরকারকে আমরা বারবার সতর্ক করেছি যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ বাংলাদেশে আর আসবে না, নিশিরাতের ভোট আর সম্ভব নয়। সমগ্র দেশবাসী দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।

গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এলডিপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফলতার সাথে রাজনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনীতির বারোটা বাজানোর সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আল্লাহর মেহেরবানীতে এবার তাদেরকে বিদায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার দুর্নীতিতে সেঞ্চুরি করেছে। এমনকি ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বছরে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু আমরা জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাইনি। বড় প্রকল্পে বড় লুটতরাজ। এই প্রকল্পগুলো দ্বারা শতকরা ৮০ শতাংশ লোক লাভবান হয়নি।

তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে, লক্ষ্মণ ভাল নয়, উদ্বেগের কারণ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ আছে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ডিসেম্বর মাসে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ১২ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স প্রতিমাসে গড়ে ২ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতিমাসে বাণিজ্যিক ঘাটতি ৩ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার। প্রতিমাসে পরিশোধ করতে হয় ০.৬৯ বিলিয়ন ডলার।

সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ বিক্রি করেও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। বড় গলায় গর্ব করে এই সরকার বলেছিল যে, আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। অর্ধেকের বেশি এই সরকারের ডাকাতেরা আত্মসাৎ করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। যথেষ্ট হয়েছে, এখন ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশের জনগণকে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে দিন, দেশবাসীকে শান্তিতে থাকতে দিন।

এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক এডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু, সহ-দপ্তর ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপি’র সভাপতি মো. সোলায়মান, পশ্চিম এলডিপি’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপি’র সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণ এলডিপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাড. নূরে আলম, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি এফএমএ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসানসহ প্রমুখ।