হলের গেট রাত ৯টায় বন্ধের দাবিতে টিটি কলেজে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজের ভেতরে এ দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
প্রথম নিিউজ, ঢাকা: রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং (টিটি) কলেজের আবাসিক হলের গেট রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রীরা। এসময় হলের গেট খোলা রাখার সময় বাড়ানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রীরা। বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজের ভেতরে এ দাবি নিয়ে অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শীতকালে সন্ধ্যা ৬টায় হলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর এখন সন্ধ্যা ৭টায়৷ অনেকের টিউশন থাকে বা বাইরে ব্যক্তিগত কাজ থাকে৷ হলের গেট বন্ধ করে অধ্যক্ষ বাসায় চাবি নিয়ে যান৷ কোনো ছাত্রী হলে প্রবেশ করতে কিছুটা দেরি করলে তাকে কয়েক ঘণ্টা হল গেটে অপেক্ষা করতে হয়। শিক্ষার্থীদের এতে অনেক সমস্যা হয়৷ দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষকে এই বিষয়ে দাবি জানালেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি৷ তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
সুমাইয়া আক্তার নামের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, আমরা অনেকেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এমন অনেকেই আছে যারা বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টিউশনি বা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়। আবার অনেকে সন্ধ্যার পরে নিজেরাও কোচিংয়ে অংশ নিতে বাইরে যায়। এমন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় হলের গেট বন্ধ করে দিলে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়৷ কেউ একটু দেরি করে ফিরলে তাকে কয়েক ঘণ্টা হল গেটে অপেক্ষা করতে হয়৷ অধ্যক্ষ গেটে এসে বসে থাকে৷ গেট তালা দেওয়ার পর চাবি বাসায় নিয়ে যান৷ আমরা চাই অন্তত রাত ৯টা পর্যন্ত হল গেট খোলা থাকুক।
ইয়াসমিন নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ছাত্রীদের ভালো থাকার বিষয়টিও কলেজ প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। আমরা চাই কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে অন্তত রাত ৯টা পর্যন্ত হলের গেট খোলা রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। সন্ধ্যা ৭টায় গেট বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক।
তবে ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সন্ধ্যার ৭টায় গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন টিটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৭টায় হলের গেট বন্ধ করে দেওয়া তো আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। এটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত৷ দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলে আসছে৷ গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্রীরা আরও বেশি সময় হলের গেট খোলা রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছে। গতকাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিও আমাকে ফোন করেছিলেন৷ আমি বলেছি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হবে৷ আমি তো আর একা কলেজ চালাই না। ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সন্ধ্যা ৭টায় হলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এখন যদি ছাত্রীরা বলে তাদের নিরাপত্তার সমস্যা নেই, তাহলে আমার কোনো সমস্যা নেই।