সার্বিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই কসোভোতে আরও ৭০০ সেনা পাঠাবে ন্যাটো

স্থানীয় সার্বরা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে সেখানে ন্যাটো সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছিল।

সার্বিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই কসোভোতে আরও ৭০০ সেনা পাঠাবে ন্যাটো

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: কসোভোর সার্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সংঘাতের মধ্যেই দেশটিতে নতুন করে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো। স্থানীয় সার্বরা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে সেখানে ন্যাটো সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এসময় বিক্ষুব্ধ সার্বদের সঙ্গে সংঘাতে জরিয়ে পড়ে ন্যাটো সদস্যরা। এতে অন্তত ৩০ ন্যাটো সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পর এখন নতুন করে ৭০০ সেনা পাঠাতে যাচ্ছে সামরিক জোটটি।

আরটির খবরে জানানো হয়েছে, কসোভোর সার্ব জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে নিজের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে সার্বিয়া। ফলে কসোভো ও সার্বিয়ার মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। কসোভো একসময় সার্বিয়ার অংশ ছিল। ২০০৮ সালে এটি আলাদা হয়ে গেলেও এখনও দেশটিকে স্বীকৃতি দেয়নি সার্বিয়াসহ বিশ্বের কয়েক ডজন দেশ। কসোভোর নিরাপত্তার দেখভাল করে ন্যাটো সেনারাই। তবে এবার কসোভোতে থাকা সার্বদের সঙ্গে ন্যাটো সেনাদের সংঘর্ষে আবারও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। 

ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টল্টেনবার্গ মঙ্গলবার নতুন সেনা পাঠানোর ওই ঘোষণা করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কসোভোয় ন্যাটো সদস্যদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা একেবারেই ‘অগ্রহণযোগ্য’। এর জবাবেই নতুন সেনা পাঠানো হচ্ছে। তিনি প্রিস্টিনা ও বেলগ্রেডকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানান। দুই দেশের উচিৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনায় বসা। 

কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভোসা ওসমানি সোমবারের সংঘর্ষের দায় দিয়েছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিককে। তিনি বলেছেন, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কসোভোকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন। সার্বদের অবৈধ সংগঠনগুলো অপরাধীদের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তারা কসোভো পুলিশ, ন্যাটো কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছে। যারা কসোভোর উত্তরাঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে ভুচিকের আদেশ মেনেছে, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। 

অপরদিকে ভুচিক উত্তেজনা সৃষ্টির দায় দিয়েছেন কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তিকে। তিনি অবশ্য কসোভোর সার্বদের ন্যাটো সেনাদের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বানও জানান। কসোভোর উত্তরাঞ্চলের সার্ব অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে আলবেনীয় বংশোদ্ভূত মেয়ররা দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই এলাকাগুলোতে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। এই মেয়ররা যে নির্বাচনে জিতেছিলেন, সেবার ভোট বয়কট করেছিল সার্বরা।