শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল

গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নিয়োগ বাতিল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফারুকের (এম ফারুক) নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে কী কারণে মো. ফারুকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ২১৮ (২) অনুযায়ী শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত মো. ফারুকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ২৫শে এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। গত ৯ই মার্চ আইন মন্ত্রণালয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. ফারুকের নিয়োগ বাতিল করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি দেয়। এর অনুলিপি দেয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও।

চিঠিতে বলা হয়, বয়স ও বার্ধক্য বিবেচনায় তার পক্ষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে প্রতীয়মান হয়। এ ছাড়া লেবার কোর্ট বার এসোসিয়েশনের পত্র হতে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নিয়মিত বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জনস্বার্থে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফারুকের নিয়োগ বাতিল করে  একজন দক্ষ, কর্মঠ ও কর্মতৎপর চেয়ারম্যান নিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম ফারুকের নিয়োগ বাতিল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রায় দেড় বছর ধরে আপিল ট্রাইব্যুনালে সঠিক সময়ে ও নিয়মিত বিচারকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে না। মামলার দৈনিক কার্যতালিকা হালনাগাদ না করার কারণে বিচারকাজে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হওয়া, মামলার নথি খুঁজে না পাওয়া, আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হচ্ছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, লেবার কোর্ট বার এসোসিয়েশনের পক্ষে কার্যনির্বাহী কমিটি বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম দূর করতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন।