প্রথম নিউজ, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কবরস্থানের কমিটি গঠন ও মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসাব চাওয়া কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। রবিবার সকাল অনুমান ১০ টার দিকে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামস্থ কোলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা কবরস্থানের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এতে কোলা গ্রামের রাসেল রানা, ও তার বড় ভাই সোহেল, ছোট ভাই রাজীব ও তার স্ত্রী অর্থী ও মামা আইয়ুব আলী আহতসহ গুরুত্বর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
এ ঘটনায় কাঠালতলী গ্রামের মৃত ছোবাহান হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল রানা বাদী হয়ে কোলা গ্রামের মৃত রহমান হাওলাদারের ৪ ছেলে মো. মালেক হাওলাদার, মো. হারুন হাওলাদার, মো. হালিম হাওলাদার, মো. হাশেম হাওলাদার, হালিমের ২ ছেলে মো. মিরাজ হাওলাদার ও মো. রায়হান হাওলাদার, শেখ মেহের আলীর ২ ছেলে মো. রবিন ও মো. রুবেল, শেখ ফরহাদের ছেলে মো. নাহিদ, মো. আসলামের ছেলে মো. একান্ত, মো. চুন্নু হাওলাদারের ছেলে নাফিজদের এজাহার নামীয় বিবাদীসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০-১২ জনকে বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হামলার শিকার ভুক্তভোগী রাসেল রানা অভিযোগ করে বলেন, আমার মামা আয়ুব আলী এ কবরস্থান ও মাদ্রাসার সবচেয়ে বড় ডোনার। আমরাও এ কবরস্থানের ডোনার। ওদের কাছে মাদ্রাসা এবং কবরস্থানের আয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার লোকজনের সাথে ঝামেলা চলছিলো। পরে আজকে সকাল ১০টায় বিষয়টা নিয়ে কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে বসার কথা। পৌনে ১০ টার দিকে আমি আমার মামাকে কবরস্থানে যেখানে বসার কথা সেখানে দিয়ে আসি।
পরে গিয়ে দেখি ওরা মামাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেছে। আমিসহ আমাদের আরো কয়েকজন তাদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের ৪ জন আহত হয়। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। ওরা যে রামদা ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বের হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই প্রমান পাওয়া যাবে। আমরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।