আইএমএফের ঋণ নিতে শ্রীলংকার পার্লামেন্টে ৩ দিনের বিতর্ক শুরু
অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলংকা সামনের কয়েক বছরে তার অর্থনীতিকে কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের কর্মসূচি বা ঋণ গ্রহণ করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহের প্রস্তাবের ওপর বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য শ্রীলংকার পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্ক শেষে প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে। যদি প্রস্তাব অনুমোদিত হয় তাহলে অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলংকা সামনের কয়েক বছরে তার অর্থনীতিকে কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ জন্য পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রতি চার বছরের জন্য আইএমএফের কর্মসূচি অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। তার এই প্রস্তাবনায় পুনর্গঠনের মাধ্যমে ১৭০০ কোটি ডলারের ঋণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। ধারণা করা হচ্ছে আইএমএফের চার বছরের বেইলআউট প্রোগ্রাম গৃহীত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে। এই পরিকল্পনার অধীনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এই দাতা সংস্থা বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রীলংকাকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে।
গত বছর শ্রীলংকা ঘোষণা করে, করোনা মহামারি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান লাগার কারণে বিদেশি ঋণের বিপরীতে অর্থ দিতে পারছে না। অর্থাৎ তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেছেন, গত বছর জুলাই মাসে তিনি ক্ষমতা নেয়ার সময় দেশের ভিতরে এবং বিদেশি ঋণ মিলে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩৬০ কোটি ডলার।
তিনি আরো বলেন, ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে প্রতিবেশী ভারত ও প্যারিস ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতামুলক আলোচনা হবে। এ ছাড়া আলাদাভাবে আলোচনা হবে চীনের সঙ্গে। উল্লেখ্য প্যারিস ক্লাব হলো বড় ঋণদাতা দেশগুলোর একটি সংগঠন। ঋণ পুনর্গঠন বিভিন্ন ফর্মে হতে পারে। যেমন বেইলআউট, ঋণের শর্ত নিয়ে নতুন করে আলাপআলোচনা, কিছুটা ঋণ কমানো। এ ছাড়া আভ্যন্তরীণ ঋণ পুনর্গঠনও প্রয়োজন শ্রীলংকায়। বিক্রমাসিংহে বলেন, স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে ‘সেফগার্ড’ বা সুরক্ষা দেবে সরকার। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ২৫ বছর মেয়াদী অর্থনৈতিক রোডম্যাপ শুরু হবে।