শান্তি সমাবেশে পৌর‌ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে জখম

শান্তি সমাবেশে পৌর‌ শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে জখম

প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে শান্তি সমাবেশ শেষে নিজেরাই অশান্তিতে জড়িয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। চাঁদাবাজি ও কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে পটুয়াখালী পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সিহাব মো. সগিরের (৩০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।রোববার সকালে শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় শান্তি সমাবেশ শেষে এই মারামারি শুরু হয়। আহত অবস্থায় সগিরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুরুতর আহত সগির বলেন, ঢাকা থেকে আমি কমিটি আনার পর থেকেই জেলা শ্রমিক লীগের অনেক নেতাই আমার সঙ্গে বিরোধ তৈরি করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে তারা আজ সকালে নিউমার্কেটের শান্তি সমাবেশ শেষ করে বাসায় আসার পথে শ্রমিকলীগের খলিল আমার ওপর হামলা করে। তাদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র ছিল। সেই অস্ত্র দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা আমাকে রক্ষা করে। আমি পটুয়াখালী সদর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।


পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বলেন, সগিরের ড্রাইভারের সঙ্গে পোলাপানের তর্কাতর্কি হয়েছে। তখন তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমার সঙ্গে কিছু হয়নি, আমি দাঁড়ানো ছিলাম।

পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মূলত সমস্যা হয়েছে খলিলের সঙ্গে। সগিরকে আমিই পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলাম। এরপরও ঢাকা থেকে একটা কাগজ এনে নিজেকে জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন কথা বার্তা আছে। সগিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ এসব বিষয় নিয়ে কথা কাটকাটি হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত সগিরকে দেখতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মন্নান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয় পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম বলেন, মৌখিকভাবে শুনেছি শহরের নিউ মার্কেটে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।