শেখ হাসিনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: শেখ হাসিনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশের ইতিহাসে জনগনের অভাবনীয়-অভূতপূর্ব নীরব প্রতিবাদে একটি উদ্ভট, গণ বর্জিত প্রহসনের প্রকাশ্য অটো ভোট ডাকাতির মঞ্চায়ণ দেখলো দেশবাসীসহ গোটা বিশ্বের মানুষ। শত ভয়-ভীতি, জেল-জুলুম নির্যাতন- প্রলোভন ও সরকারের সাড়াশি চাপ উপেক্ষা করে ভোট প্রদান না করার মাধ্যমে জনগণ এই নির্বাচনকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১৮ কোটি মানুষের দাবী এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের আহ্বান পরোয়া না করে পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের একদলীয় একতরফা ভোটার বর্জিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে মুলতঃ বিজয় হয়েছে স্বতস্ফূর্ত ভোট বর্জনকারী গণতন্ত্রকামী বীর জনতার। আর চরম কলংকিত অপদস্তমূলক লজ্জার পরাজয় ঘটেছে গণবিচ্ছিন্ন বেপরোয়া একনায়ক মাফিয়া প্রধান শেখ হাসিনা গংদের। এই দিনটি অনন্তকাল একটি জঘন্য কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই দিনে ভোট বর্জন করে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। ৭ জানুয়ারি গভীর রাত থেকে চুরি-ডাকাতি, জালভোট, শিশু কিশোর ভোট, রাস্তা থেকে পথিক ধরে নিয়ে ভোট, একই ব্যক্তির ৫০ ভোট, মিনিটে ৫০ ভোট, একই লাইন থেকে ঘুরেফিরে বার বার জাল ভোট দিয়েও বিকাল তিনটা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ % ভোটের ঘোষণা দিয়ে গণভবনের চাপে আবার এক ঘন্টা পরেই ৪০% এবং গতকাল দুপুরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোটের গোজামিলের ভৌতিক হিসাব বানানোর এই ভূয়া হাস্যকর নির্বাচন ভোটের ইতিহাসে কলংক তিলক উৎকীর্ন করলো ডামি সরকার। জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই অংশগ্রহনহীন ভোটার বিহীন একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি প্রদান করেছে। বিশ্বের সমস্ত মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষকরা এই নির্বাচনকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগন ও ভোটার সম্পর্কহীন পুরোপুরি “ওয়ান উয়োম্যান শো'-এর ঘোষিত জয়-পরাজয়ের ভোট বলে আখ্যায়িত করেছে। পাতানো ডামি নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়নি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। সারা দেশের ভোট কেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। শেখ হাসিনার এই প্রহসনমূলক নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক জেজ কৌলসন সাংবাদিকদের বলেছেন, আই ফাউন্ড দ্য নর্থ কোরিয়া মডেল হিয়া’র। বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়া স্টাইলের একদলীয় নির্বাচন হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর আবারো অভিনব কায়দায় বিরোধীদলহীন, ভোটারবিহীন ভোট ডাকাতির একটি ডামী নির্বাচন করার জন্য গত ৫ বছর গণবিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনা বিএনপিসহ বিরোধীদল ও ভিন্ন মতের প্রতিটি মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম খুন নির্যাতন মিথ্যা মামলা হুলিয়া গৃহছাড়া করেছে। জনপদগুলো গডফাদার-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ -কিলার বাহিনীর মাধ্যমে জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ বানিয়েছে। দেড় লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় অর্ধকোটির বেশী বিএনপির নেতা কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। কোটি অধিক বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থকদের উদ্বাস্তু করেছে। কারাগারগুলোতে ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশী বিএনপি নেতাকর্মীকে বন্দী করে রেখে মৃত্যুর মুখে নিপতিত করেছে। দেশকে করেছে বৃহৎ কারাগার। কারা হেফাজতে প্রতিদিন বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের কারো না করো মৃত্যুর সংবাদ আসছে। নতুন নতুন কালাকানুন করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও-সাধারন জনগনকে শৃংখলিত করেছে। আচার-বিচার-আইন আদালত,পুলিশ ,সিভিল প্রশাসন সবকিছু দলীয়করন করে প্রতিষ্ঠা করে সমস্ত মৌলিক অধিকার কবর দিয়ে ভয়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। সিন্ডিকেট করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম আকাশচুম্বি করে দূর্ভিক্ষের পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। দেশের জনগনকে ভোটারহীন করে রিফিউজিতে পরিনত করেছে। এতো কিছু করার পর শেখ হাসিনার পরিকল্পিত এই স্বেচ্ছাচারি একতরফা প্রহসনের ভোটার বর্জিত নির্বাচনের পর এখন কদর্য উল্লাসে মেতে উঠেছে। ডামি নির্বাচনের ডামি প্রার্থীরা এখন ডামি পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদের কোন বৈধতা নেই। এক মূহুর্তে ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। এই অবৈধ সরকারকে জনগন মানে না। আমি এই মুহূর্তে পাতানো গণবিরোধী ডামি নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগনের চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আরো দুর্বার করে এই ডামী সরকারের পতন ঘটানো হবে। ইনশাআল্লাহ ।
তিনি বলেন, পুরোপুরি এই 'ওয়ান উয়োম্যান শো'-এর ঘোষিত জয়-পরাজয় ও ভোটের দেখানো সংখ্যা নিয়ে বিশ্লেষণ করার বা আনন্দ-বেদনা প্রকাশের কিছু নেই। কাউকে দিবে কিঞ্চিৎ এবং কাউকে করবে বঞ্চিত - এই ধারার এক স্বেচ্ছাচারি একতরফা প্রহসনে শেখ হাসিনা কাউকে জিতিয়েছেন, কাউকে হারিয়েছেন। সবই ভেলকিবাজি ও তার মর্জির ফল। এর সঙ্গে জনগণ, ভোটার বা অন্য কারুর কোনও সম্পর্কই নেই। সাধারণ মানুষের এই বর্জন বর্তমান ‘ডামিক্রেসী সরকার’ ও শাসকগোষ্ঠীর প্রতি নীরব গণ-অনাস্থার সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। দৃশ্যমান এই অনাস্থা ক্ষমতাসীনদের ন্যূনতম বৈধতার ভিত্তি তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভোটার সংখ্যা বাড়ানোতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকার একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করেছে এবং প্রজাতন্ত্রের জনগণের উপর কলঙ্ক লেপন করেছে। নির্বাচনের ফলাফল যে পুর্বনির্ধারিত তা প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম রবিবার রাতে ফলাফল ঘোষনার সময় মিডিয়ার মাইক্রোফোন অন রেখে আওয়ামী দলদাস কর্মকর্তাদের সাথে সলাপরামর্শ করার সময় ফাঁস করে দিয়েছেন। যা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা দেশের জনগন অবলোকন করেছেন। সেখানে মঞ্চে পাশে বসা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীরের সঙ্গে আলাপের সময় ইসি সচিবকে বলতে শোনা যায়, ‘যেয়ে ঘুমাইয়া যামুগা। এখানে বসে থেকে লাভ আছে? সবাই রেজাল্ট জানে। ৬৪ ডিসিদের মেসেজ আছে। ৬৪ টা জেলার রেজাল্ট কি হবে সবাই জানে। পড়ে চলে যামুগা। ডিসিরা পাঠাইছে না। সব আছে। আমার কাছে আছেতো। এ সময় পাশে থাকা কর্মকর্তা ইসি সচিবের কানে কানে ফলাফল নিয়ে কিছু বলছিলেন। তখন ইসি সচিব বলেন- বিতর্কিত বানাইয়া ফালাইছে।’ সরকারের অন্যতম দোসর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে। এই নির্বাচন সরকারের নিয়ন্ত্রণেই হয়েছে। যেখানে তাদের প্রার্থীকে জেতাতে চেয়েছে, সেখানে তারা সেই ব্যবস্থা নিয়েছে।” অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন দেখানোর নাটক করতে, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে নকল দল তথাকথিত কুইন্স পার্টি, ভূইঁফোড় পার্টি, ড্রিঙ্কস পার্টি, ছিন্নমূল পার্টি এবং খুচরা কিছু পার্টি , উচ্ছিষ্টভোগী জোট, গৃহপালিত বিরোধীদলকে এমপি বানানোর মূলার প্রলোভন দেখিয়ে নির্বাচনে এনেছিল। শেখ হাসিনা তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়ার পর এখন তারা গাল ফুলিয়ে প্রকাশ্যে কিভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তার সরল সত্য গল্প বলে হা হুতাশ করে বেড়াচ্ছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনের পরে গনভবনে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, এবারের নির্বাচন একটা যুগান্তকারী ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে এতো আগ্রহ আগে কখনো দেখিনি। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। সব সময় চেষ্টা ছিল নির্বাচন সুষ্ঠু করার। নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে, তা প্রমাণিত হয়েছে। নানান রকমের মিথ্যেবাদী আমরা দেখি। তবে, ক্রমাগত মিথ্যে বলতে থাকা কেউ যদি তার নিজের বলা মিথ্যের ফুলঝুরিকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে থাকে, তাহলে সেটিকে একটি মনোবিকার বা মনস্তাত্ত্বিক রোগ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনার এমন টাটকা মিথ্যা বলার পর জনগন তাকে কোন ঘরানার মিথ্যুক বলে অভিহিত করবে? আমি সারাদেশে কোন কিসিমের ভোট হয়েছে তার একটি উদহারন দিতে চাই শেখ হাসিনার গায়েবী ভোটে বিজয় হওয়া গোপালগঞ্জ-৩ আসনের একটি কেন্দ্র পশ্চিম উনশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১০০.২৭%। সেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩২৩ হলেও ভোট পড়েছে ৩৩৩২ টি এছাড়াও বর্ষাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে তিনি একাই শতভাগ (১০০%) ভোট পেয়েছেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৭৮৪ জন, ভোট কাষ্ট দেখিয়েছে ২৪৯২ জন। এমন গায়েবী ভোট পড়েছে দেশের বহু কেন্দ্রে। আবার আজ ইত্তেফাক পত্রিকা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য উদ্বৃত করে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, রবিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোট ভোট পড়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৭টি অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু শেষ এক ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট হয়েছে। অর্থাৎ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৮ জন ভোটার ভোট শেষ হওয়ার পূর্বের এক ঘণ্টায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার মানে শেখ হাসিনার নির্দেশে শেষ এক ঘণ্টায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির প্রতিযোগিতা হয়েছে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য। এটাই শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ঘটনা এবং তার নির্বাচন নিয়ে এতো আগ্রহ আগে কখনো না দেখার প্রকৃত মর্ম । দ্বাদশ নির্বাচনে সরকার ভয়াবহ অন্যায় করার পরও বিজয়ের গৌরব উদযাপন করছে, আত্মগরিমা প্রকাশ করছে যা সরকারের অধঃপতিত মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতা ধরে রাখার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা এবং ভোটার অংশগ্রহণকে বাড়িয়ে দেখানোই স্বৈরাচারের অপকৌশল। বিশ্বের সকল স্বৈরশাসকই জনগণের ‘সম্মতি ও সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে নির্বাচনে জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে, বর্তমান সরকারও তার ব্যতিক্রম নয় বরং অন্যতম দৃষ্টান্ত।
‘ডামি নির্বাচনে'র অসংখ্য ভিডিও দেখেছি। অগণিত ছবি দেখেছি। অনেকগুলো রিপোর্ট পর্যালোচনা করেছি। তাতে প্রকৃত ভোট প্রদান শতকরা হারের মধ্যেই পড়বে না। ভোট ডাকাত সরকার ভোট প্রদানের পার্সেনটিস যতই বাড়িয়ে বলুক এটা এখন জনগনের কাছে হাস্যকর হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজ ‘ডামি সরকার' দিয়ে দেশ চলতে পারেনা। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রেখে শিগগিরই আরেকটি 'রিয়েল নির্বাচনে'র জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য মাফিয়া শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান আজ আহ্বান জানিয়েছেন। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগনের বিজয় হবেই হবে । চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বারোকোটি কোটি মানুষের লুন্ঠিত ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আপনি যে দল কিংবা যে মতেরই হোন, আমাদের আন্দোলনকে বেগবান করতে আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন। আমাদের সঙ্গে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিন। আপনার সাধ্য ও সামর্থের সবটুকু দিয়ে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের চলমান আন্দোলনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। কারণ, আপনার তথা প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের চলমান আন্দোলন। চলমান সংগ্রাম। তারেক রহমান আজ এক বক্তৃতায় বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থক শুভার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনারা বছরের পর বছর ধরে কষ্ট করছেন। বহু ত্যাগ শিকার করছেন। আপনাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই, যতবার দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে বারবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে দেশপ্রেমিক জনগণের দল-বিএনপি। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস্য। জনগণ বিএনপির কাছ থেকেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব আশা করে। সুতরাং, আপনারা নিজ নিজ সাংগঠনিক এলাকায় গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন। চলমান আন্দোলন সফল করতে হলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।