রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বৈঠক

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে ‘বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা’ দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বৈঠক

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে ‘বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা’ দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

বৈঠকে সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলা হয়, এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে বের করে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকে সহজতর করতে পারে। সেইসঙ্গে ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও ছিল রোহিঙ্গা সঙ্কট। উভয়পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।   

পোপ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পদ্ধতিতে অভিবাসন পরিচালনার জন্য দেশটির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন। তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আইওএম-এর প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।