চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দামে খুব একটা হেরফের নেই। তবে মাসখানেক ধরে বাড়তি চালের দাম কমছে না। পাশাপাশি মুরগির দামও কিছুটা বাড়তি রয়ে গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই জানা গেছে।
চালের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই চালের বাজার চড়া। আমনের ভরা মৌসুমের পাশাপাশি শুল্ক কমানো ও আমদানিসহ কয়েকটি উদ্যোগ নিলেও কোনো কাজে আসছে না। এক মাস ধরে মানভেদে বিভিন্ন ধরনের চালের কেজিতে ২ থেকে ৬ টাকা বেড়ে রয়েছে।
এখন খুচরায় প্রতিকেজি সরু বা মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮২ টাকায় আর নাজিরশাইল মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে মিনিকেট ৭২ থেকে ৮০ এবং নাজিরশাইলের কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ছিল।
মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পায়জাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। এছাড়া মোটা বা গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হবে ৬০-৬২ টাকা। মোটাদাগে বাজারে এই দামের নিচে কোনো চাল নেই। যদিও একমাস আগে মোটা চালের কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে চালের মতো কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির বাজার বাড়তি। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এরচেয়ে বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। এ জাতের মুরগির কেজি কিনতে হলে কেজিপ্রতি খরচ পড়বে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল।
তবে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কম রয়েছে। বড় বাজারে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম কেনা যাবে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। পাড়া মহল্লার দোকানে ১৪০-১৪৫ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে শীতের সবজি এখনো কম দামে মিলছে। আলুর দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে এসেছে। পেঁয়াজ কিনতে পারা যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে
এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০, শিম ৩০ থেকে ৫০, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করল্লা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।
প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি মানভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং লাউয়ের পিস কেনা যাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
অন্যদিকে মুদি বাজারে দামের তেমন হেরফের দেখা যায়নি। প্রতিকেজি আমদানি করা মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ ও দেশি চিকন মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ থেকে টাকা, মুগডাল ১৬৫ থেকে ১৭০ ও ছোলার কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।