র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে পাবিপ্রবি ছাত্রী

রোববার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর আগে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রব্বেজ টাওয়ারে (ছাত্রীনিবাস) এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে পাবিপ্রবি ছাত্রী

প্রথম নিউজ, পাবনা: ছাত্রীনিবাসে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন শিমু রানী তালুকদার নামের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক ছাত্রী। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর আগে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রব্বেজ টাওয়ারে (ছাত্রীনিবাস) এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু রানী তালুকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পাবিপ্রবির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ৫তলা বিশিষ্ট রব্বেজ টাওয়ারে অনেক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রথম বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিজেদের রুমে ডেকে নেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিমু রানী তালুকদার নিজেকে অসুস্থ দাবি করে যেতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছাত্রীনিবাসের ছাদে নিয়ে গিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে র‌্যাগিং করা হয়। এ সময় শিমু গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভয়ে র‌্যাগিংয়ের বর্ণনা দিতে নারাজ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু রানী তালুকদার।  তিনি বলেন, তার মতো এরকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। আমার এই ঘটনা আমার পরিবার বা অন্য কেউ না জানুক- এই জন্য বলতে চাচ্ছি না। আমি সিনিয়র আপুদের অনেক নিষেধ করার পরও তারা আমার কথা শোনেননি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন রব্বেজ টাওয়ারের মালিক আবুল কালাম আজাদ। 

রব্বেজ টাওয়ারের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাতে ১০ জন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে ম্যাসের সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী ওপরে ডেকে নিয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকজন আসছিল। সে (শিমু) একটু অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল।’

পাবিপ্রবি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি খোঁজখবর নিয়েছি এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ বিষয়ে আমি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হােসেন বলেন, এরকম ঘটনা আমিও শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল তা জেনে পরে বলতে পারব।