রিকশা নিয়ে গেলো পুলিশ : ফাঁস নিলেন চালক
স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও পুলিশ তার রিকশা নিয়ে ৩ হাজার টাকা নিয়েছে। আবারও নাকি পুলিশ রিকশা নিয়ে গেছে।
প্রথম নিউজ, সাভার: সাভারে রিকশা হারিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাজমুল কাজী নামে এক চালক। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, রিকশা পুলিশ নিয়ে গেলে বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করেন নাজমুল। মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনির জালেশ্বর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নাজমুল কাজী খুলনার পাইকগাছা থানার আব্দুস সবুর কাজীর ছেলে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি সাভারের জালেশ্বর এলাকায় ভাড়া থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, এর আগেও পুলিশ তার রিকশা নিয়ে ৩ হাজার টাকা নিয়েছে। আবারও নাকি পুলিশ রিকশা নিয়ে গেছে। তাছাড়া নাজমুল মানসিক ভারসাম্যহীন। সে আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তবে আজ কী কারণে আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না।
নিহতের স্ত্রী নাজমা বলেন, বিকেলে রেডিও কলোনি থেকে আমার স্বামীর রিকশা পুলিশ নিয়ে যায়। রিকশা ছাড়িয়ে নিতে ৩ হাজার টাকার মতো লাগত। তাই ৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে গ্যারেজে যাই। সেখানে গ্যারেজ মালিক বলেন, যদি রিকশা পুলিশ নেয়, তাহলে নাজমুল ছাড়া রিকশা দেবে না। আর হাইওয়ে থানায় খবর নিলে তারা রিকশা নেয়নি বলে জানিয়েছে। পরে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় এসে দেখি নাজমুল আত্মহত্যা করেছে।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, মঙ্গলবার রেডিও কলোনি এলাকা থেকে এমন কোনো রিকশা আটক করা হয়নি। জরিমানার তো প্রশ্নই উঠে না।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক বলেন, রাত ৯টার দিকে রেডিও কলোনি এলাকার জালেশ্বর থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জানা যায়। তবে তিনি রিকশা হারিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ রিকশা ধরেনি। তিনি বাসায় স্ত্রীকে বলেছেন, রিকশা পুলিশ নিয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী পুলিশের কাছে যেতে চাইলে নাজমুল যায়নি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রেডিও কলোনি থেকে কোনো রিকশা আটক করা হয়নি। আর রিকশার জরিমানা থানায় নেওয়া হয় না। এটি ইউক্যাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।