মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধীদের তৎপরতায় ২০৫ নাগরিকের উদ্বেগ

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে বন্ধ করে দেয়া ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সকল পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও নিউজ পোর্টাল খুলে দেওয়ার দাবি জানাই। বিদ্যমান সকল গণমাধ্যমে সরকার ও বিরোধীদের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার আহবান জানাই। 

মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধীদের তৎপরতায় ২০৫ নাগরিকের উদ্বেগ

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের একটি বক্তব্য ঘিরে মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধী তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ২০৫ জন নাগরিক। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বক্তব্যের সূত্র ধরে একটি মহল বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মহলটি ইতিপূর্বে দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম প্রথম আলো নিষিদ্ধ করার জন্য এবং বিতর্কিত আইনে দায়েরকৃত মামলায় পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রতিবেদককে গ্রেপ্তারের অন্যায় দাবি জানিয়েছে। ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদকের অপসারণ দাবি করেছে। বিভিন্ন সময় ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের গণমাধ্যম বন্ধ করার দাবি তুলেছে এবং গণমাধ্যম বন্ধে সরকারের পদক্ষেপে সমর্থন দিয়ে এসেছে। এই গোষ্ঠীটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও নিপীড়নমূলক পদক্ষেপে বরাবরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন যুগিয়েছে। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে তাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য-বিবৃতি প্রকারান্তরে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থাকে রক্ষারই আয়োজন এবং এই তৎপরতা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে অন্তরায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একতরফা ও প্রশ্নবিদ্ধ দু’দুটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ছলে-বলে-কৌশলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। বল প্রয়োগ করে, সভা-সমাবেশে সংগঠিত অধিকার এবং সকল উপায়ে মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিহত করে চলেছে। গুলি, লাঠিচার্জ, আক্রমণ, আঘাত, গুম, খুন, গ্রেপ্তার, গণগ্রেপ্তার, মামলা, গায়েবি মামলার মাধ্যমে পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। 

সরকারের একরোখা মনোভাবের কারণে দুটি প্রতারণামূলক নির্বাচনের পর আরও একটি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। দেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জাজনক হলেও এই পরিস্থিতিতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনতে পেরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভিসানীতি প্রণয়নের পর সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের পরিসর বিস্ময়করভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরাশক্তির সমর্থনে টিকে থাকা এই সরকারের দমনমূলক নীতি প্রশমিত করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক বিশ্বের নীতি ও পদক্ষেপগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মানবাধিকার ও মতপ্রকাশ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের চলমান আন্দোলনে বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ, দেশ ও সংগঠনের সমর্থন খুবই প্রত্যাশিত ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুঃখজনক হলেও সত্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল দলের জন্য প্রয়োজনীয় সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরি হয়নি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই শুধু সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন আয়োজনের সঙ্গে জড়িত সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ ভূমিকায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এমন একটি নিরপেক্ষ সরকারই নিতে পারে। 

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমেও সমান সুযোগের পরিবেশ তৈরি করা দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্যি, গণমাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ নেই। সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতির কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উদ্বেগজনকভাবে সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর প্রতি সরকারের বৈরী নীতির কারণে সেগুলোতে অস্বস্তি ও ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যমকে নিশানা করে বিজ্ঞাপন বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়ায় সেগুলো লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সমর্থক প্রায় সব গণমাধ্যম এই সরকারের আমলে হয় বন্ধ হয়েছে, নয়তো মরণাপন্ন অবস্থায় কোনোরকমে টিকে আছে। নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের মধ্যে জেল-জুলুমের তীব্র ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক সাংবাদিক নির্যাতন, নিপীড়ন, মারধর, আক্রমণ এমনকি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে একপেশে, একচেটিয়া সুবিধাভোগী সরকার-সমর্থক একটি মিডিয়া-ব্যবস্থা। ক্ষমতাসীনদের তোষণ, তাদের অন্যায় কর্মকাণ্ডে অব্যাহত সমর্থন ও গণবিরোধী অবস্থানের কারণে অনেক সংবাদমাধ্যম জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এ অবস্থায়, গণমাধ্যমে অবাধ তথ্যপ্রবাহের সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করতে এবং স্বাধীন গণমাধ্যম-বিরোধী অবস্থান থেকে সরকারকে সরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ দরকার। 

একই সঙ্গে আমরা সাইবার নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বাতিল এবং বিতর্কিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে বন্ধ করে দেয়া ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী মতের সকল পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও নিউজ পোর্টাল খুলে দেওয়ার দাবি জানাই। বিদ্যমান সকল গণমাধ্যমে সরকার ও বিরোধীদের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার আহবান জানাই। 

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ যে মহলটি গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সেটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায় বলে প্রচার করছেন তারা দেশের গণমাধ্যমের চরম বিপর্যয়েও নিশ্চুপ ছিলেন ও আছেন। কেননা এই মহলের অনেকেই সুবিধাভোগী, সরকার-সংশ্লিষ্ট ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার অংশীদার। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির জন্যই তারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে চলেছেন বলে আমরা মনে করি। আমরা তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন
১. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লেখক রায়হান রাইন 
২. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানস চৌধুরী
৩. নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন
৪. শিল্পী অরূপ রাহী
৫. দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া 
৬. নারী অধিকারকর্মী দিলশানা পারুল
৭. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী
৮. আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ
৯. শিল্পী মুস্তাফা জামান
১০. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান
১১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলম
১২. চলচ্চিত্র নির্মাতা  মুহাম্মদ কাইউম
১৩. সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী. 
১৪. লেখক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন
১৫. লেখক জিয়া হাশান
১৬. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আ-আল মামুন
১৭. লেখক আবু সাঈদ আহমেদ
১৮. কবি ও সাংবাদিক অর্বাক আদিত্য 
১৯. ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আবুল কালাম আল আজাদ
২০. লেখক ও অনুবাদক লুনা রুশদী
২১. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর
২২. কবি মজনু শাহ
২৩. গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী
২৪. লেখক জামাল আবেদিন ভাস্কর
২৫. লেখক আসিফ সিবগাত ভূঞা 
২৬. লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ 
২৭. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির 
২৮. গবেষক ও অধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন 
২৯. লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট, তুহিন খান
৩০. কবি বায়েজিদ বোস্তামি
৩১. কথাসাহিত্যিক হামীম কামরুল হক
৩২. গণমাধ্যম বিশ্লেষক,  ফাহমিদুল হক 
৩৩. সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার 
৩৪. সাংবাদিক শাহেদ আলম
৩৫. মেজর অবঃ শাফায়াত আহমেদ 
৩৬. লে: কর্ণেল (অব:) মো: মোস্তাফিজুর রহমান
৩৭. লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম
৩৮. ৩৮.লেখক ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব
৩৯. লেখক জিয়া হাসান 
৪০. লেখক রাখাল রাহা 
৪১. প্রকাশক মাহাবুব রহমান
৪২.লেখক ও বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান 
৪৩. নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সাইমুম পারভেজ 
৪৪. সাংবাদিক মনির হায়দার 
৪৫. সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান
৪৬. সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জর্জ চৌধুরী
৪৭. সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. তারিকুজ্জামান
৪৮. বিএফইজের সভাপতি এম.আবদুল্লাহ
৪৯. বিএফইজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন
৫০. সাংবাদিক এম এ আজিজ
৫১. সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ
৫২. সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমদ
৫৩. সাংবাদিক ইলিয়াস খান
৫৪. এহতেশামুল হক, আইনজীবী, ভার্জিনিয়া, ইউএসএ
৫৫. লেখক ড. মারুফ মল্লিক
৫৬. লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ 
৫৭. লেখক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র
৫৮. কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ
৫৯. গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী রোজিনা বেগম 
৬০. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ আল মামুন 
৬১. কবি হাসান রোবায়েত
৬২. কবি রুহুল মাহফুজ জয়
৬৩. কবি ও অনুবাদক ইরফানুর রহমান রাফিন 
৬৪. সাহিত্যিক গাজী তানজিয়া
৬৫. কবি ও সাংবাদিক সাখাওয়াত টিপু
৬৬.প্রকাশক সাঈদ বারী 
৬৭. কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ
৬৮. কবি ফেরদৌস আরা রুমী 
৬৯. সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী
৭০. অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান
৭১. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান
৭২. অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম
৭৩. অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার
৭৪. অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন
৭৫. অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ
৭৬. অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম
৭৭. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশিদ
৭৮. অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন
৭৯. অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির
৮০. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম
৮১. অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন
৮২. অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম
৮৩. অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান 
৮৪. অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ আলম
৮৫. অধ্যাপক আল আমিন 
৮৬. অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম
৮৭. অধ্যাপক দেবাশিষ 
৮৮. রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংগঠক এরশাদ নাবিল খান 
৮৯. অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
৯০. অধ্যাপক ড. শরিফ মোহাম্মদ খান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় 
৯১. মো. মেহেদি হাসান খান , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
৯২. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
৯৩. অধ্যাপক মো. মোকলেসুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯৪. অধ্যাপক ড. রেজওয়ান আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯৫. অধ্যাপক ড. শেখ সিরাজুল হাকিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৯৬. অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯৭. অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল ইসলাম সরকার, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৯৮. অধ্যাপক ড. এ কে এম রুহুল আমিন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৯৯. অধ্যাপক ড. মো. সারোয়ার হোসেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১০০. অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার রুমা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১০১. অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হাসান, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০২. অধ্যাপক ড. কুদরত-ই জাহান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১০৩. অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১০৪. অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল হোসেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০৫. অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক উপাচার্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়
১০৬. অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১০৭. অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১০৮. অধ্যাপক মো. এসএম হেমায়েত, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১০৯. অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১১০. অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় 
১১১. অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১১২. মো. জাকারিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১১৩. অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুর রহমান, চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয় 
১১৪. অধ্যাপক ড. সাইফুল হুদা, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
১১৫. অধ্যাপক ড. আনোয়ারল কবির ভুইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১১৬. অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১১৭. অধ্যাপক ড. মো. আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১১৮. অধ্যাপক ড. এ কে এম মহিউদ্দিন 
১১৯. অধ্যাপক ড. মো. আবু জোবায়ের 
১২০. অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুইয়া
১২১. অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল
১২২. অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১২৩. অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৪. অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১২৫. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদি মাসুদ 
১২৬. অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়
১২৭. অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৮. অধ্যাপক. ড. মো. আমিনুল হক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
১২৯. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩০. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৩১. অধ্যাপক ড. দিলিপ কুমার বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩২. অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩৩. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩৪. অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান
১৩৫. অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩৬. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩৭. অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৩৮. অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৯. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪০. অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 
১৪১. অধ্যাপক ড. এস এম নিয়ামুল কাদির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 
১৪২. অধ্যাপক ড. খন্দকার এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৩. অধ্যাপক ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান
১৪৪. অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৪৫. অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৬. অধ্যাপক ড. মো. আসাদুল হক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৭. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৮. অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুর উল হায়দার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
১৪৯. অধ্যাপক ড. এসএম হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৫০. অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার তুষার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৫১. ড. মো. নাজমুল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৫২. মো. ইসরাফিল পরাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৫৩. শাহীনা শাহনাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৫৪. অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৫৫. অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় 
১৫৬. অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৭. অধ্যাপক ড. ইয়ানুর কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৮. অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৯. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৬০. অধ্যাপক ড. সামিনা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৬১. অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 
১৬২. অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলামা জাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৬৩. অধ্যাপক ড. নাসিফ আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
১৬৪. অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৬৫. অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান 
১৬৬. ড. মো. মেজবাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৬৭. অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 
১৬৮. অধ্যাপক তানভীর আহসান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় 
১৬৯. অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭০. অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭১. অধ্যাপক ড. মো. রাইসুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭২. অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭৩. মোহাম্মদ শের মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৭৪. অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭৫. মো. তানজীল হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭৬. অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৭৭. অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার
১৭৮. অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৭৯. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮০. অধ্যাপক ড. মো. সোয়েব উল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
১৮১. ড. মো. শফিউল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮২. অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৩. অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮৪. অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৮৫. ড. মো. আবু জাফর খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮৬. দেবাশীষ পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮৭. অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮৮. অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুল হাসান খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৮৯. অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, রুয়েট 
১৯০.  অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯১. অধ্যাপক ড. নাসরীন সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯২. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯৩. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯৪. অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯৫.  কবি ও সম্পাদক শওকত হোসেন 
১৯৬. অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯৭. ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় 
১৯৮. লেখক ইমতিয়াজ মির্জা
১৯৯. জ্যোতি রহমান, অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মাইক্রোইকোনোমিস্ট 
২০০. ড. সিথি কামাল হাইমান, লেকচারার সান্তা বারবারা, ইউএসএ
২০১. সুহাইল বিন আলম, কলামিস্ট 
২০২. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ
২০৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব
২০৪. বিডি ফ্যাক্টচেকের প্রতিষ্ঠাতা জাহেদ আরমান
২০৫. অ্যাক্টিভিস্ট ও সমন্বয়ক- ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য আরিফুল ইসলাম আদীব