ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ টন সরকারি চাল, দায় নিতে নারাজ খাদ্য বিভাগ

এ সময় সরকারি চালের বস্তার ছবি তোলার সময় পুলিশের সামনেই গণমাধ্যম কর্মীদের বাধা প্রদানসহ গালাগাল করেন ওই ব্যাবসায়ী।

ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ টন সরকারি চাল, দায় নিতে নারাজ খাদ্য বিভাগ

প্রথম নিউজ, পঞ্চগড়: পঞ্চগড় বাজারের চাল হাটিতে আব্দুস সাত্তার নামে এক চাল ব্যবসায়ীর গুদামে ২০ টন সরকারি চালের বস্তা মজুত পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, চেম্বারের ট্রেজারার আব্দুস সামাদ পুলক, সদর উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফিনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। পরে ওই ব্যবসায়ীর দেওয়া কাগজপত্র দেখে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

এ সময় সরকারি চালের বস্তার ছবি তোলার সময় পুলিশের সামনেই গণমাধ্যম কর্মীদের বাধা প্রদানসহ গালাগাল করেন ওই ব্যাবসায়ী।

জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুরের গৌতম ট্রেডার্স থেকে তিনি ২০ টন চাল কিনেছেন। এসব চাল টিআর ও কাবিখার বলে তিনি স্বীকারও করেন। তার গুদামে খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে ৬৬৭টি বস্তায় ২০ টন চাল রয়েছে। খাদ্য বিভাগের লোগো ও লেখা সম্বলিত বস্তায় চাল ক্রয় ও বিক্রি অবৈধ হলেও খাদ্য বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

চাল ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি নাটোরে গৌতম ট্রেডাস থেকে এসব চাল কিনেছি। এভাবে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছি। আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। তাই খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে চলে গেছেন।’

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আমরা কাগজপত্র যাচাই করে দেখেছি, তার ক্রয় সংক্রান্ত কাগজ ঠিক আছে। আপনারা আপনাদের মতো যাচাই করে দেখেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক খন্দকার বলেন, গুদাম থেকে কোনো চাল বেরিয়ে গেলে আমাদের আর কোনো দায়িত্ব থাকে না। কোনো গুদামে সরকারি বস্তায় চাল পাওয়া গেলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।