বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ট্রলারডুবি নিখোঁজ অর্ধশতাধিক
গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই ১৫-২০টি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, ছট্টগ্রাম: বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই ১৫-২০টি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃতরা হলেন, বাঁশখালী উপজেলার আল্লাহ্র দান ট্র্রলারের মো. জিয়া মাঝি, মো. আলী, মো. মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে সাগরে বাতাস ও ঢেউ বেশি ছিল। এ সময় লবণবাহী ১৫-২০টি ট্রলার ডুবে যেতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নৌকা নিয়ে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে।
উদ্ধার হওয়া বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক জানান, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে ডুবে যায়। প্রতিটি ট্রলারে ৫-৭ জন মাঝি মাল্লা ছিল। বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক আবুল কাশেম বলেন, আমার মালিকানাধীন ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের ট্রলারটি ৬০ টন লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। ঝড়ের একপর্যায়ে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে গহিরার বার আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়।
তবে আমার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা। গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।