বখাটের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৭
আহতরা হলেন- উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের নুরুল শেখের ছেলে আরমান শেখ (২২), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম (২০), আমানউল্লাহ (১৫), রোজিনা (৩০), সাবিনা (২৫), লিখন (১০) ও লিমন(৮)।
প্রথম নিউজ,ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বখাটেদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আহতরা হলেন- উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের নুরুল শেখের ছেলে আরমান শেখ (২২), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম (২০), আমানউল্লাহ (১৫), রোজিনা (৩০), সাবিনা (২৫), লিখন (১০) ও লিমন(৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মো. নুরুল শেখের ছেলে আরমান শেখ তার স্ত্রী, শ্যালক ও বোনদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন শুক্রবার বিকেলে। সন্ধ্যার একটু আগে বাড়ি ফেরার পথে ঠাকুরপুর বাজারের কাছে এলে ঠাকুরপুর গ্রামের মো. চুন্নু শেখের দুইছেলে মুস্তাফিজুর শেখ ও মাসুম শেখ, অমৃতনগর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সামচু, নয়ন ও আমগ্রাম বিশ্বাসপাড়ার মো. ফারুকের ছেলে সাকিব তাদের আজেবাজে কথা বলে। আরমান শেখ এর প্রতিবাদ করলে ইট দিয়ে মেরে তার মাথা থেঁতলে দেয় বখাটেরা। তখন আরমানের শ্যালক আমানউল্লাহ এগিয়ে এলে তাদের লাঠিসোটা দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় আরমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম এবং দুই বোন রোজিনা ও সাবিনা এগিয়ে এলে তাদেরও মারপিট করা হয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিন রাতেই বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আহত আরমান শেখের বাবা মো. নুরুল শেখ। অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর শেখ ও মাসুম শেখের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের মো. নুরুল শেখ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন মামলা হয়নি। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. অতসী বিশ্বাস বলেন, আহতদের ভর্তির পর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী ভর্তি রয়েছেন। তার পরীক্ষা করা হয়েছে সন্তান ভালো আছে। বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, এব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। ঘটনা তদন্ত করে দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।