দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার ১ম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার। দুরারোগ্য পার্কিনসন্স ব্যাধিতে আক্রান্ত ৬৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০১৬ সাল থেকে এ রোগে ভুগছেন তিনি। নার্ভাস সিস্টেমে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিতে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যায় এই ব্যাধি। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন বর্ডার। তার দাবি, ধীরে ধীরে শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক সমস্যা বেড়েছে বর্ডারের। সাত বছর আগে তার প্রথম স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়। তখন থেকেই চিকিৎসা চলছে সাবেক এই ক্রিকেটারের।
বর্ডার নিজের অসুস্থতা সম্পর্কে বলেন, ‘২০১৬ সালে প্রথম একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের (নিউরো সার্জন) কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে পরীক্ষা করে বলেছিলেন, আমার বলতে খারাপ লাগছে। তাও আপনার সত্যিটা জানা দরকার। আপনি পার্কিনসন্সে আক্রান্ত।’
সেই থেকে অসুস্থতা ক্রমশ বাড়ছে বর্ডারের। শরীরের বিভিন্ন অংশে ধীরে ধীরে দৃঢ় হচ্ছে এই রোগের থাবা। পরিস্থিতি যে ভাল নয় জানেন সাবেক এই ক্রিকেটার নিজেও। বর্ডার বলেছেন, ‘না, আরও একটা শতক করার কোনও সম্ভাবনা নেই আমার। এটা নিশ্চিত। জানি আমি ধীরে ধীরে শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
২০১৬ সাল থেকেই বর্ডারের হাত ধীরে ধীরে অসাড় হয়ে যেতে শুরু করে। শক্তি হারাতে থাকেন তিনি। নিজের অসুখ নিয়ে বেশি প্রচার বা সহানুভূতি চান না বর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি একটু ব্যক্তিগত পরিসর পছন্দ করি। চাইনি অন্যরা আমার অসুস্থতার খবর শুনে কষ্ট পাক। জানি না মানুষ আমার খবর রাখে কিনা। তবে জানতাম, একদিন ঠিক সবাই বিষয়টি জানবে।’
অসুস্থ হলেও বর্ডার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অনেকের থেকে ভাল আছি। ভীত নই। অদূর ভবিষ্যতে যাই হোক না কেন। আমার বয়স এখন ৬৮। ৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচলে অবিশ্বাস্য ব্যাপার হবে। আমার এক বন্ধু আছেন। তিনি চিকিৎসক। তাকেও ঠিক এ কথাটাই বলেছিলাম একবার। সেও মেনে নিয়েছে ৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকলে সেটা অলৌকিক হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৫৬টি টেস্ট খেলেছেন অ্যালান বর্ডার। ৯৩ টেস্টে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসাবে টেস্টে ১১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। দেশের হয়ে ২৭৩টি একদিনের ম্যাচও খেলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। তার নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।