বিএনপি নেতা হেলাল-এজাজসহ ৮ নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ভোটডাকাত মাফিয়া আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে।

বিএনপি নেতা হেলাল-এজাজসহ ৮ নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত

প্রথম নিউজ, খুলনা: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, ভোটডাকাত মাফিয়া আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে। জালিম শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষুদ্র কারাগার থেকে বাংলাদেশ নামক বৃহৎ কারাগারে আসলাম। যতোদিন শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারবো, ততোদিন কার্যত বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি নেই। অচিরেই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক দফার দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মাফিয়া সরকারের পতন নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ্। আর ততোদিন বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না, যাবে না। খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে নামবার আহবান জানিয়েছেন এ কেন্দ্রীয় নেতা।

গতকাল বুধবার (১০ মে) বিকেলে নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এর কয়েক মুহূর্ত আগে খুলনা জেলা কারাগার থেকে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮জন নেতাকর্মী জামিনে মুক্তিলাভ করেন। খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভা অল্প সময়ের মধ্যে জনসভায় রুপ নেয়। খুলনা থানার মোড় থেকে শুরু করে হেলাতলা পর্যন্ত সড়ক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। কারামুক্ত অপর নেতা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেন, জেল জুলুম, হামলা-মামলা ও অত্যাচার করে শেখ হাসিনা গদি রক্ষা করতে পারবে না।

হাসিনা সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর আন্দোলন সফল করার আহবান জানান।  এর আগে বিকাল ৪ টায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে আজিজুল বারী হেলাল, আমীর এজাজ খানসহ ৮ জন কারামুক্ত হয়ে বেড়িয়ে আসলে নেতাকর্মীরা তাদের ফুল ও ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে তারা দলীয় কার্যালয়ের সমানে উপস্থিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ইসা, খান জুরফিকার আলী জুলু, শের আলম সনান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, সাইফুর রহমান মিন্টু, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, এস এ রহমান বাবুল, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাসুদ পারভেজ বাবু, মো. রকিব মল্লিক, শেখ সাদী, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শেখ তৈয়বুর রহমান, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, বেগ তানভিরুল আজম, চৌধুরি কাওসার আলী, মুরশিদ কামাল, ডাঃ আব্দুল মজিদ, খাইরুল ইসলাম জনি, কে. এম. হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, শাকিল আহমেদ দিলু, এ্যাড. চৌধুরি তৌহিদুর রহমান তুষার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শেখ ইমাম হোসেন, শেখ আজগর আলী, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, আব্দুস সালাম, নাজমুল হুদা চৌধুরি সাগর, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার শাহিনুল ইসলাম নিক, মনিরুজ্জামান লেলিন, মো. মুর্শিদুর রহমান লিটন, মিজানুর রহমান মিলটন, মুজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন,  সেলিম সরদার, সরোয়ার হোসেন, সাইদুজ্জামান খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, নুরুল আমিন বাবুল, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারী পান্না, সাইফুর রহমান, এস এম এনামুল হক, শাহনাজ সরোয়ার, কাওসারি জাহান মঞ্জু, শফিকুল ইসলাম শাহিন, শেখ আবু সাইদ,  এবাদুল হক রুবায়েত, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, নেহিবুল হাসান নেইম, আতাউর রহমান রুনু, আব্দুল আজিজ সুমন প্রমুখ। 

জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ-গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, সার-বীজ ও কৃষি উপকরণের মূল্য কমানো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সারাদেশের ন্যায় জেলার ডুমুুরিয়াতেও শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়। ওইরাতে রাতে ডুমুুরিয়া থানার এসআই তারেক রাইয়ান বাদী হয়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, ডুমুুরিয়া উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজসহ ১৮জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে। এ মামলায় উচ্চআদালত থেকে জামিনে ছিলেন এজাহারনামীয় নেতৃবৃন্দ। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে খুলনার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে নেতাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উচ্চআদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়ায় দুই সপ্তাহ কারাভোগের পর মুক্তিলাভ করলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ ৮জন নেতাকর্মী।।