Ad0111

বিএনপিই পাতানো খেলা ও গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর: কাদের

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না।

বিএনপিই পাতানো খেলা ও গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর: কাদের
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপিকে পাতানো খেলা ও গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বপ্রাচীন ও একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং দেশের জনগণের উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশ পুনর্গঠনে প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে খুনি ঘাতকচক্র। জাতির পিতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মূলহোতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি সবসময় ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে আসছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশ ও জনগণ নয়, বিএনপির কাছে মুখ্য হলো যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতা ফিরে পেতে বিএনপি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের নীলনকশায় জড়িত বলেই কথায় কথায় তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে লুটপাট আর অনিয়মতন্ত্র চালু করে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলতে চাই, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য পাতানো নির্বাচন আওয়ামী লীগ করে না। পাতানো রাজনৈতিক খেলা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন যারা করেছিল, একই ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান যারা করেছিল, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে যারা গোপনে বিচারপতিদের বয়সসীমা বাড়িয়েছিল, তারাই পাতানো খেলা আর গোপন ষড়যন্ত্রের কারিগর।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতারা কথায় কথায় ২০১৮ সালের নির্বাচন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত স্থানীয় ১১৮টি সংস্থার মধ্যে ৮১টি সংস্থা অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল। সংসদে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিও আছে। তাহলে বিএনপির সংসদ সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হলেন? সংসদ অবৈধ হলে তাদের সংসদ সদস্যরা কীভাবে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিদিন সংসদে বক্তব্য রাখছেন? আসলে বিএনপির রাজনীতি দ্বি-চারিতার রাজনীতি। তাদের রাজনীতি জন্মলগ্ন থেকে জনবিরোধী ও ক্ষমতালিপ্সু নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন ও সংসদের বৈধতা নিয়ে কোনো কথা বিএনপির মুখে মানায় না। অতীতে জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিএনপি কীভাবে ছেলেখেলা করেছে। বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানাবো, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। সেখানে জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দেওয়ার জন্য নিজেদের কুৎসিত প্রতিবিম্ব দেখতে পাবেন। জাতীয় ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টির জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিশুদ্ধতার প্রয়াস নিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ও বিদেশি প্রভুদের সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি। তাদের নেতারা তালগোল হারিয়ে ফেলেছেন। একবার তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি তোলেন, আবার সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে তার বিরোধিতা করেন। একদিকে তারা নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালান। অন্যদিকে তাদের কেউ কেউ নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার দরকার নেই এবং নির্বাচন কমিশন কোনো ফ্যাক্টর না বলে মন্তব্য করেন।’

কাদের বলেন, আসলে রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা নেই। আমরা বলতে চাই, সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন সরকারের অধীনে হবে, তা সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে। বারবার বলে আসছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের যে উদ্যোগ বিএনপি নেতারা সরকারের সে উদ্যোগে মূল্যবান মতামত দিতে পারেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news