প্রার্থিতা ফিরে ফেসবুকে পোস্ট: ‘শুরু হলো দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আপিল শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ: নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শুরু হলো দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আপিল শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। এরপরই ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে আখতারুজ্জামান রঞ্জন লেখেন, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার অসীম রহমতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে আমার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে। আজ থেকে শুরু হলো দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে আমার নতুন আন্দোলন। কটিয়াদি ও পাকুন্দিয়া থেকে দেশমাতা খালেদা জিয়ার সন্তান ও অনুগতদের নিয়ে শুরু হলো দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন। আসেন আমরা আওয়াজ তুলি- মুক্তি চাই, মুক্তি চাই। দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’
জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে হলফনামায় মামলার তথ্য ও ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করার অভিযোগে যাচাই-বাছাই শেষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আখতারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ। এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায় অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে কোন্দলে বহুদিন ধরেই বেশ আলোচনায় এই আসনটি। এ সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই আসনে নজর ছিল জেলাবাসীর।
কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন কোন্দল নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছানোয় এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১৪ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জনের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের নেতা-কর্মীদেরই ভাবাচ্ছে।