প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গের ৯০ ভাগ কেটে পালালেন প্রেমিকা
সোমবার সন্ধ্যায় মেঘনার পাড়ে মাছ ঘাট এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের সহযোগিতায় এসব হোটেল কক্ষ ভাঙা হয়।
প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: রায়পুরে হোটেলের ভেতরে প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গের ৯০ ভাগ কেটে পালালেন প্রেমিকা। এ ঘটনার ১১দিন পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে চারটি হোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ৪৫টি গোপন কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মেঘনার পাড়ে মাছ ঘাট এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের সহযোগিতায় এসব হোটেল কক্ষ ভাঙা হয়।
গত ২৯ জুন রায়পুর উপজেলার আলতাফ মাস্টারঘাটের কলাপাতা রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত তাওহিদুল ইসলাম (আল আমিন) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের পশ্চিম পোয়া এলাকার অহিদুর রহমান জমাদারের ছেলে। আলআমিন এখনো লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই প্রেমিকা (প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী) তার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তবে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি কেউ।
প্রবাসীর স্ত্রী জানান, এক বছর ধরে আল আমিনের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। বিয়ের আশ্বাসে প্রায় সময় তারা দুইজনই বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হতেন। শারীরিক সম্পর্ক করেন এবং আলআমিনকে গহনাসহ তিন লাখ টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু আলআমিন তাকে বিয়ে না করে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। পরে বিষয়টি জেনে যান তিনি। গত ২৯ জুন দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে আলতাফ মাস্টারঘাট এলাকায় ঘুরতে যান তারা। আলআমিন একটি হোটেলের গোপন কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে আলআমিনের বিশেষ অঙ্গ কেটে পালিয়ে যান ওই নারী।
স্থানীয়রা ওই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রায়পুর থানার ওসি মো. ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ওই যুবক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা বা লিখিত অভিযোগ করেনি।
সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর জানান, আলআমিনের বিশেষ অঙ্গের ৯০ ভাগ কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ছেলেটি ভর্তি আছে, চিকিৎসা চলছে।