প্রভাবশালীদের গোপন পাসপোর্ট, বিপদে দেশ ছাড়তে চান অনেকে

ইতোমধ্যে অনেকের হাতে হাতে ঘুরছে এসব পাসপোর্ট।

প্রভাবশালীদের গোপন পাসপোর্ট, বিপদে দেশ ছাড়তে চান অনেকে

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, অখ্যাত কয়েকটি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্ট প্রকল্পে দুহাতে টাকা ঢালছেন বাংলাদেশি কোটিপতিরা। ইতোমধ্যে অনেকের হাতে হাতে ঘুরছে এসব পাসপোর্ট। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছাড়াও আছেন সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের প্রভাবশালীরা। এমনকি পরিচয় লুকিয়ে ভিন্ন নাম-ঠিকানায় পাসপোর্ট পেতেও মরিয়া অনেকে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুধবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমিও এসব শুনেছি। কিন্তু আমার কাছে এখনো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু আসেনি। এসব নিয়ে আমাদের সংস্থাগুলো কাজ করছে। এক্ষেত্রে প্রমাণযোগ্য তথ্য পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গোপন পাসপোর্ট : ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডায় বিনিয়োকারী বাংলাদেশির সংখ্যা সর্বোচ্চ। সে দেশের বিশেষ নাগরিকত্ব প্রকল্পে বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে পাসপোর্ট নিয়েছেন চট্টগ্রামের প্রয়াত রাজনীতিবিদ আক্তারুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী (নম্বর এবি০৮৬৮৭১) এবং তার স্ত্রী ইমরানা জামান চৌধুরী (এবি০৮৬৮৭২)। অ্যান্টিগুয়ান অ্যান্ড বারবুডান নাগরিক হিসাবে ২০১৮ সালের ৮ মার্চ তাদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। পাসপোর্টগুলোয় ২০৩২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিদেশি পাসপোর্টে বাধাহীন যাতায়াতের জন্য আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঢাকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ‘নো ভিসা’র আবেদন করা হয়। কিন্তু তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে এ সংক্রান্ত আবেদনে গোয়েন্দা ছাড়পত্র চাওয়া হয়। এজন্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। পরে ২ আগস্ট বিএফআইইউ-এর যুগ্মপরিচালক তরুণ তপন ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বাইরে বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য অর্থ প্রেরণের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনের আবশ্যকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লিখিত ব্যক্তিদ্বয় কর্তৃক অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডায় বিনিয়োগের অনুমতির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাওয়া যায়নি। এ ধরনের অনুমোদন ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ করলে তা মানি লন্ডারিং অপরাধ হিসাবে বিবেচ্য।’

এছাড়া অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার পাসপোর্ট দেখিয়ে সপরিবারে ‘নো ভিসা’র আবেদন করেছেন গুলশানের বাসিন্দা একেএম ইফতেখার হোসেন (পাসপোর্ট নম্বর এবি০৬৮৮২০)। তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন স্ত্রী সৈয়দা আসেফা আফরিন আলী (পাসপোর্ট নম্বর এবি০৬৮৮৩২), মেয়ে জারিয়া ফারহান হোসেন ও ছেলে জাইয়ান ওয়াসিফ হোসেন।

তাদের পাসপোর্টে গুলশান ১ নম্বর রোডের একটি বাড়ির ঠিকানা রয়েছে। ১৫ জানুয়ারি সেখানে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, একেএম ইফতেখার হোসেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম এফ করিম গ্রুপ। এছাড়া তিনি রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের আজীবন সদস্য।

ডিআইপির তথ্য বলছে, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামের অখ্যাত এক দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ফেনীর বাসিন্দা আব্দুল ফাত্তাহ। সম্প্রতি তিনি ওই দেশের পাসপোর্ট (আরই০১০৫৮৩৫) দেখিয়ে ‘নো ভিসা’র আবেদন করেন। পরে তার নাগরিকত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আবেদনের কপি পাঠানো হয় এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) কার্যালয়ে।

মাঠপর্যায়ের যাচাই-বাছাই শেষে ৫ জুন এনএসআই-এর পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, আব্দুল ফাত্তাহ এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেড নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। কিন্তু বর্তমানে তার ছেলে ব্যবসা দেখাশোনা করেন। শুধু অবাধে ভ্রমণের জন্য তিনি ‘নো ভিসা’র যে আবেদন করেছেন, তা যুক্তিযুক্ত নয়। এর আড়ালে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

পাসপোর্টে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী আব্দুল ফাত্তাহর বাবার নাম মৌলবি আব্দুল হাদী। মায়ের নাম মঞ্জুরা খানম চৌধুরানী। গ্রামের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী, নতুন মুনসুরহাটের জগতপুর। তিনি সেন্ট কিটসের পাসপোর্ট নেন ২০২১ সালের ১৮ মার্চ। দেশটিতে তার নাগরিক নিবন্ধন নম্বর সি ৫১২৬৫।

আব্দুল ফাত্তাহ ছাড়াও সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিকত্ব নিয়েছেন গুলশানের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান। ২০১৮ সালের ২৬ জুন তিনি দেশটির পাসপোর্ট হাতে পান (নম্বর আরই০০৭০১৯০)। সম্প্রতি তিনি নিজেকে দ্বৈত নাগরিক দেখিয়ে ঢাকায় ‘নো ভিসা’র আবেদন করেন। বিদেশি পাসপোর্টে তার বর্তমান ঠিকানা গুলশান এলাকার ৮৮ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ি। তার বাবার নাম আহমাদুর রহমান এবং মা মারিয়াম রহমান। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পাথরঘাটা ৫৬ বান্ডেল রোড।

সেন্ট কিটসের পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে ১২ জানুয়ারি গুলশানের ঠিকানায় গেলে জিয়াউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার নুরুল হক জানান, স্যার বেশির ভাগ সময় বিদেশেই থাকেন। ফলে মোবাইল নম্বরেও কথা বলা সম্ভব নয়। দেশে আসার পর যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

ডিআইপিতে ‘নো ভিসা’ আবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, অজ্ঞাত কারণে দ্বীপরাষ্ট্র গ্রেনাডার নাগরিকত্ব নিয়েছেন চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্পপরিবার টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার ও তার স্ত্রী ফাতেমা সালমা কামাল। গ্রেনাডিয়ান হিসাবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একই সময় পাসপোর্ট হাতে পান তারা। সেন্ট জর্জেস থেকে ২০২৩ সালের ৪ মে তাদের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। ২০২৮ সালের ৪ মে পর্যন্ত এর মেয়াদ রয়েছে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ‘নো ভিসা’ আবেদনে তারা গ্রেনাডার দুটি পাসপোর্টের কপি সংযুক্ত করেন। এতে মোস্তফা হায়দারের পাসপোর্ট নম্বর জিএ০৮৫০৯১ এবং স্ত্রী ফাতেমা সালমা কামালের পাসপোর্ট নম্বর জিএ০৮৫০৯০। দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আবেদনের সঙ্গে নিজেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও জমা দেন তারা।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, কতিপয় অখ্যাত দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্ট দেখিয়ে অনেকেই ‘নো ভিসা’র আবেদন করছেন। এমনকি তাদের আবেদন দ্রুত অনুমোদনের জন্য তদবির আসছে প্রভাবশালীদের। এসব নিয়ে ভিসা শাখার কর্মকর্তারা রীতিমতো অহেতুক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যারিবীয় কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্টে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বহুদেশে ভিসামুক্ত চলাচলের সুবিধা রয়েছে। এ কারণে কোটি টাকা বিনিয়োগে এসব দেশের পাসপোর্ট নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে গড়ে এককালীন দেড় থেকে দুই লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্বসহ পাসপোর্ট দেয় অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা, গ্রেনাডা, মাল্টা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া ও ভানুয়াতুর মতো কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। এমনকি কয়েকটি দেশ সরাসরি তাদের জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে অর্থ জমা নেয়। আবার কয়েকটির আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগের ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই নাগরিকত্ব মেলে।

সম্প্রতি ঢাকার এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী তার পরিবারের ৪ সদস্যের নামে অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার পাসপোর্ট নিয়েছেন। এতে তার খরচ সব মিলিয়ে ৩ কোটি টাকার মতো। অখ্যাত দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্ট নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসার কাজে প্রায়ই তাকে বিদেশে যেতে হয়। বাংলাদেশি পাসপোর্টে বারবার ভিসা নেওয়া ঝামেলাপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পাসপোর্টে বিশ্বের ১৫০টির মতো দেশে ভিসামুক্ত চলাচলের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বৈরী পরিস্থিতিতে বিদেশি পাসপোর্ট দেখিয়ে দেশের বাইরে যাওয়াও তুলনামূলক সহজ।

জানা যায়, দ্বীপগুলোয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর তৎপরতা ও অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ৫ বছর আগেই প্রতিবেদন দেয় এসবি (পুলিশের বিশেষ শাখা)। এর সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর এক বিশেষ সভা ডাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশ ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি বলেন, যেসব বাংলাদেশি ডমিনিকা, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা ও সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস দ্বীপদেশগুলোর নাগরিকত্ব নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এছাড়া অর্থ পাচারের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য ক্যারিবীয় পাসপোর্টে ‘নো ভিসা’ দেওয়ার আগে বিএফআইইউ-এর মতামত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। পরে সভা থেকে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নাগরিকত্ব গ্রহণকারীদের তালিকা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রহস্যজনক কারণে পরে তালিকা প্রণয়নের কাজ আর বেশিদূর এগোয়নি।

ঢাকায় এজেন্ট : ধনীদের সেকেন্ড পাসপোর্ট এবং উন্নত দেশে পিআর (স্থায়ী বসবাসের অনুমতি) সেক্টরে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছে বনানীর সিএম ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিস নামের এক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্ট প্রকল্প তাদের অন্যতম ‘হট প্যাকেজ’। বনানী সি-ব্লকের ১৩ নম্বর রোডের ৫২ নম্বর বাড়িতে প্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত কার্যালয়। অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডার পাসপোর্ট প্রকল্পে বিনিয়োগ-ইচ্ছুক পরিচয়ে ২১ জানুয়ারি সেখানে হাজির হন যুগান্তর প্রতিবেদক।

তখন বিকাল ৩টা। কাচঘেরা অফিসের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। কলিংবেল চাপলে এক নারী অভ্যর্থনাকর্মী আংশিক দরজা খুলে দাঁড়ান। কার কাছে এসেছেন-জানতে চান তিনি। অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডায় বিনিয়োগ প্রকল্প বলতেই সরে দাঁড়ান তিনি। ভেতরের একটি কক্ষে সোফা দেখিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর ফারুক নামের এক এক্সিকিউটিভ আসেন। পাশের একটি কনফারেন্স হলে তার সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।

ফারুক বলেন, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, গ্রেনাডা, সেন্ট কিটসসহ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ এখন আগে থেকে বাড়ানো হয়েছে। আগে এক লাখ মার্কিন ডলার হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার। এর সঙ্গে আছে সার্ভিস চার্জ। সব মিলিয়ে ৪ জনের একটি পরিবারের জন্য বারবুডার পাসপোর্টে খরচ তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা। প্রদত্ত টাকার পুরোটাই সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হবে। টাকা যাবে বিশেষ এজেন্টের মাধ্যমে। আপনাদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কতজন বিনিয়োগ করেছেন জানতে চাইলে ফারুক জানান, এটা শতভাগ গোপনীয়। কোনো ক্লায়েন্টের তথ্য তারা প্রকাশ করেন না। এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা তাদের ব্যবসায়িক নীতি। এমনকি ক্লায়েন্টের মোবাইল ফোন নম্বর পর্যন্ত গোপন রাখা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক স্বীকার করেন, বর্তমানে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর নাগরিকত্ব প্রকল্পে বিনিয়োগের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। এমনকি ক্যারিবীয় পাসপোর্টে আর ‘নো ভিসা’ও দিচ্ছে না পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তবে দেশের বাইরে যেতে পারলে এসব পাসপোর্ট দিয়ে অনায়াসে ইউরোপ-আমেরিকায় ভিসামুক্ত চলাচল করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

ক্যারিবীয় পাসপোর্টে ‘নো ভিসা’র ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিদর্শন) একেএম মাজহারুল ইসলাম বুধবার তার কার্যালয়ে  বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা অন্যান্য দেশের পাসপোর্টধারী বাংলাদেশিদের যথারীতি ‘নো ভিসা’ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে চিহ্নিত কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্টে ‘নো ভিসা’ দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা আছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সূত্র : যুগান্তর