প্রধানমন্ত্রী শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী

আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভীা বলেন,  এ দেশের জনগণ নাগরিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রত্যাশী। বাংলাদেশের মানুষ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন, ন্যায়বিচার, বহুমাত্রিকতা ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে। বাংলাদেশী জাতি সুপ্রাচীন, এখানে নীতি ও ন্যায্যতার ধারণা সুদীর্ঘকালের। সেই কারণে মানবাধিকারের পক্ষে অন্তর্নিহিত তাগিদ মানুষের মনে ক্রিয়া করে। বর্তমানে বাংলাদেশে কতৃর্ত্ববাদী শাসনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। নিপীড়ণ—নির্যাতন চরম মাত্রায় নামিয়ে আনা হয়েছে গণতন্ত্রকামী নানা শ্রেণী—পেশার মানুষের ওপর। রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিপীড়ণ যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে অবৈধ ক্ষমতাকে সুরক্ষার জন্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ মরণকামড় দেয়ার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। গতকাল ঢাকা জেলা আদালত প্রাঙ্গণে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট আয়োজিত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ফরমায়েশী সাজার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে পুলিশ কান্ডজ্ঞানহীন নারকীয় হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জনের মতো পুরুষ ও মহিলা আইনজীবী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে এক উপসংহারহীন পরিস্থিতির দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ থেকে আদালতের ন্যায়বিচারের ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিদেরসহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন বিচারিক অসদাচরণের। আওয়ামী চেতনায় রঞ্জিত বিচারক’রা অন্যায্য আচরণ করছেন। বর্তমানে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পালাক্রমে আদালতের সাজা ইতোপূর্বে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর হুমকির হুবুহ প্রতিধ্বণি। জেলখানাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে পূর্ণ করার পরও প্রধানমন্ত্রীর আশা মেটেনি। আদালতের বারান্দাগুলোয় হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীদের ভিড়ে এক দম বন্ধ করা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাজিরার নামে আদালতকে এখন হিটলালের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। সরকার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী নেতাকর্মীদের টঁুটি টিপে ধরার জন্য আদালতকে ব্যবহার করছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো পাতানো নির্বাচন করতে আবারও মরিয়া হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। এই কারণে করুণা ভিক্ষার জন্য দেশ—বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু কোথাও হালে পানি পাচ্ছেন না। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ^ নেতৃবৃন্দ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের পক্ষে। তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সমতা, ন্যায়বিচার ও জনগণের ইচ্ছার পক্ষে। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরলেও আর কোন লাভ হবে না। নির্যাতন ও বৈষম্য রোধ এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোন বিকল্প নেই।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার কথা ও কাজের মধ্যে কখনোই মিল ছিল না। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার কথা ছিল না, কিন্তু ক্ষমতায় এসেই অসৎ উদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন, যার পরিণতি আমরা দেখেছি ২০১৪ ও ২০১৮ এর একতরফা জালিয়াতির নির্বাচনে। অথচ এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা অন্যের ব্রেনচাইল্ড হলেও সেটি আওয়ামী লীগের কোলে লালিত পালিত হয়েছে একটি জ¦ালাও—পোড়াওয়ের বিধ্বংসী আন্দোলনে। অথচ শেখ হাসিনা গোপন কথাটি গোপনে রেখে ক্ষমতায় এসেই ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা মুছে দেন চিরদিন দেশের জনগণের প্রভু থাকার জন্য। আর তাই গণতন্ত্রের আওয়াজ পেলেই তাঁর পুলিশ বাহিনীর বুটের আঘাতে সেটি পদপিষ্ট করতে চান। গতকাল ঢাকা জেলা আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা পূর্বপরিকল্পিত, শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমেই হাইকোর্ট ও জজকোর্টের পুরুষ ও নারী আইনজীবীদের রক্ত ঝরিয়েছে দলদাস পুলিশ। পুরুষ পুলিশের নারী আইনজীবীদের ওপর আক্রমণ সভ্যতার ভয়ঙ্কর কলঙ্ক। আমি আইনজীবীদের ওপর এই পৈশাচিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি, যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
আমি নিম্নে আহতদের নাম এবং বর্বরোচিত হামলার কিছু খন্ডচিত্র আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কতৃর্ক হামলা, মামলা ও  গ্রেফতারের বিবরণ 
হামলা ও আহত ঃ 
 শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গনতন্ত্র এবং আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবীতে গতকাল ঢাকা জেলা বারের সামনে ইউনাইটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্ট কর্তৃক আয়োজিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় গুরুতর আহত হন— এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, এ্যাডভোকেট দেওয়ান রিপন, এ্যাডভোকেট মোজাহিদুল ইসলাম সায়েম, এ্যাডভোকেট কে এম মিরাজ হোসেন, এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সোহাগ, এ্যাডভোকেট কে এম বরকত সবুজ, এ্যাডভোকেট মাহবুব আলম আক্তার, এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন, এ্যাডভোকেট হাজী মোঃ মহসীন, এ্যাডভোকেট কাজী পনির, এ্যাডভোকেট এস এম হুমায়ুন কবির, এ্যাডভোকেট মোঃ কাইয়ুম, এ্যাডভোকেট রোকনউদ্দিন মিয়া, এ্যাডভোকেট মারজিয়া হীরা, এ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজা, এ্যাডভোকেট শাহনাজ শিরীন, এ্যাডভোকেট হাসেমী, এ্যাডভোকেট মোঃ আবু সায়েম, এ্যাডভোকেট রাফিজা আলম লাকী, এ্যাডভোকেট শাহীনা খুকী, এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম জাহিদ, এ্যাডভোকেট মোঃ কাইয়ুম, এ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান সোহাগ, এ্যাডভোকেট নারগিস পারভীন মুক্তি, এ্যাডভোকেট আখলিমা আক্তার আলো, এ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান সোহাগ, এ্যাডভোকেট নার্গিস পারভিন মুক্তি, এ্যাডভোকেট আখলিমা আক্তার আলো, এ্যাডভোকেট এইচএম মিরাজ, এবং ৮. এডভোকেট হাসেমী, এ্যাডভোকেট মোঃ দেলোয়ার জাহান রুমী, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, এ্যাডভোকেট শাহীনুর বেগম সাগর ও এ্যাডভোকেট দেওয়ান রিপনসহ মোট ৩৬ জন অ্যাডভোকেট।

 উক্ত আইনজীবীদের উপর হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তগণ হচ্ছে: 
ক্স মুহিত— উপ পুলিশ পরিদর্শক, কোতয়ালী থানা
ক্স শাহীন— ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোতয়ালী থানা
ক্স নাজমুল— ওসি অপারেশন
ক্স শহিদুল ইসলাম— এডিসি, লালবাগ জোন
ক্স শাহিনুর রহমান— ওসি, কোতয়ালী থানা
ক্স মেহেদী হাসান— ওসি তদন্ত। 
 
 ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি কতৃর্ক আয়োজিত ডেঙ্গু সচেনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আল—আমিন খানসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকমীর্কে আহত করে।
 ১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার নেত্রকোনা জেলাধীন আটপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ হাবিবুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে এবং ফটোকপি মেশিনসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। 
 গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে এবং হুমকি—ধামকি প্রদর্শণ করে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। অপরদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৯ টার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদারের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায় স্থানীয় ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। 
 গত ০৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিএনপি’র গণমিছিল শেষ করে যাওয়ার পথে রাজধানীর কাকরাইলস্থ যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার উপর যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। 
 গত ০৯ সেপ্টেম্বর রাতে ফেনী জেলাধীন পরশুরাম উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এর বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বাড়ি—ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও হাবিব এর মেয়েকে মারধর করে আহত করে।  
 ৯ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মাগুরা সদর উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক এসহানুল হক পলাশের উপর স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করে। মাগুরা শহরের কলেজ রোডে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পিস্তল হাতে ছাত্রলীগের কমীর্।
গ্রেফতার ঃ
 ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানাধীন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ—প্রচার সম্পাদক আব্দুল হান্নান ও সূত্রাপুর থানা বিএনপি নেতা সনজিত কুমার দেব জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 ১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার ফরিদপুর জেলাধীন নগরকান্দা থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুজ্জামান অনু, থানা কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন ইয়াদ, যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন, বাবলু মাতুব্বর, আলিমুজ্জামান মামুন; ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন মহিন মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। 
 গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ আনুমানিক রাত ১১:৩০ মিনিটে তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন সরকারকে ময়মনসিংহ জেলার ত্রীশাল উপজেলাস্থ তার নিজ বাসভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  
 গতকাল দিনাজপুর জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাদশাহ চেয়ারম্যান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি মিথ্যা মামলায় আদালাতে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। 
 গতকাল লক্ষীপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. হাসিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল—মামুন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বরকত সৌরভ, লক্ষীপুর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহিম অভি, সদর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ভূঁইয়াসহ মোট ৯ জন নেতাকমীর্ আদালতে মিথ্যা মামলায় জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। 
 গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে নামতে গোপালবাগ চেকপোষ্টে মোবাইলে বিএনপি’র ছবি দেখে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য মোঃ সোহেল রানা ও নিউমার্কেট থানা ছাত্রদল নেতা আরিয়ান ইসলাম শিবলুকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায় এস আই সাজ্জাত ও রিপন। 
 বাগেরগাট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল, ময়মনসিংহ জেলাধীন গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেককে গভীর রাতে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  
 মেহেরপুর জেলাধীন গাংনী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলাকে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় গাংনী উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
 ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলাধীন পাগলা থানার টাঙ্গাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ—সভাপতি মেহেদী হাসান হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। 
 খুলনা মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইসতি ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হেলাল হোসেন গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ একটি মিথ্যা মামলায় খুলনা আদালতে জামিন নিতে গেলে বাকশালী আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মারুফ মিয়া ও মিঠামঈন উপজেলা ছাত্রদল নেতা তরিক মোমেন মিথ্যা মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা আদালতে জামিন নিতে গেলে তাদেরও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
 গত ৭ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও খুলনা মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান পিয়ারুসহ মোট ১৪ জন বিএনপি নেতাকমীর্ মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। 
 গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ—
মোট আহত  ঃ ১৪৩০ জন 
মোট মামলা   ঃ ৩৩৩ টি 
মোট গ্রেফতার  ঃ ১৮২০ জন 
মোট আসামী   ঃ ১৪,১৫০ জন